পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশা। কর্তৃপক্ষ নিরব। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী।
জানা যায়, পাইকগাছা পৌরসভার জিরো পয়েন্ট থেকে বাজার হয়ে শিববাটী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা শত শত গর্ত ও খানা খন্দরে পরিণত হয়েছে। বর্ষা হলেই গর্ত ও খানা খন্দর পানিতে ভরে যায়। ফলে পানি ও ইটের খোয়া মিশ্রিত কাঁদায় রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়। যানবাহন থেকে শুরু করে লোকজনের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। উক্ত রাস্তাটি পৌরসভার কি জেলা পরিষদের তা পাইকগাছাবাসী এখনও জানতে পারে নাই। ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর হতে রাস্তাটির সংস্কারের কাজ মাঝে মধ্যে থমকে যায়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের প্রয়োজনে জনগণকে আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে ভুলে যায় সকল আশ্বাসের কথা। গত পৌরসভা নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর নির্বাচনকে সামনে রেখে যেনতেনভাবে রাস্তাটি সংস্কার করে। এরপর রাস্তাটি পূর্বের অবস্থায় রূপ নেয়। যা বর্তমানে জরাজীর্ণ খানা খন্দর ও শতশত গর্তে রূপ নিয়ে পৌর সদরকে বিপাকে ফেলেছে। পাইকগাছা পৌর সদরে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য শতশত ভ্যান চালক তাদের একমাত্র উপার্জনের পন্থা হিসেবে ভ্যান চালানোকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু জরাজীর্ণ রাস্তার কারণে ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করা তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্কারের অভাব মোচনের জন্য কষ্টের মধ্য দিয়ে ভ্যান চালালেও অল্প দিনেই ভ্যানের টায়ার ও টিউব নষ্ট হয়ে যায়। আবার জিরো পয়েন্ট হতে পাইকগাছা পৌর সদরের মধ্যে রয়েছে সরকারি সকল দপ্তর, ঢাকাগামী পরিবহন স্ট্যান্ড, পাইকগাছা সরকারি কলেজ, সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয় সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেক সময় কাপড়-চোপড় কাঁদা-মাটি লাগানো অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। আবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে তাদের কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য মটরসাইকেল, বাইসাইকেলের চলাচল। এতকিছু থাকার পরেও পাইকগাছা পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণী হতে ধীরে ধীরে প্রথম শ্রেণীতে রূপ নিলেও উন্নয়ন হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থার। খেয়াল নেই পৌর কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা সহ পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত সংস্কার করা হবে।
খবর৭১/ইঃ