পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছায় এক সৎ পিতার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ে বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ ভিকট্রিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত জামশেদ শেখের স্ত্রী ময়না বেগম স্বামীর মৃত্যুরপর একই এলাকার শামছুর ঢালীর ছেলে মফিজুল ইসলাম (৪৫) কে বিয়ে করে। বিয়েরপর ময়না বেগম প্রথম পক্ষের কন্যা সন্তানকে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী মফিজুলের সাথে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে ইউপি সদস্য জবেদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। গত ২ এপ্রিল স্ত্রী ময়না বেগমকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়ে পিতা মফিজুল বাড়িতে থাকা ময়না বেগমের মেয়েকে ভরণপোষন না দেওয়া ও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ২ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি মেয়ে তার মাকে বললে পিতা মফিজুল মারপিট করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত শনিবার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে বাদি হয়ে পিতা মফিজুলকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে। যার নং- ১৬, তাং- ৬/১০/২০১৮ ইং। এ ব্যাপারে ওসি (অপারেশন) বলেন, আসামীর স্থায়ী ঠিকানা এখানে না থাকায় এখনো পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে ভিকট্রিম মেয়ের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ