পাইকগাছায় বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি

0
369

শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা):
পাইকগাছা পৌর ও উপজেলা সদর এলাকায় সম্প্রতি বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ,এর আগে পৌরসভার উদ্দ্যোগে বিভিন্ন সময় কুকুর নিধনে অভিযান চালালেও বছর দু’য়েক হল বন্ধ রয়েছে সে কার্যক্রম। আর এসুযোগে সদর এলাকায় বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের সংখ্যা আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে। আক্রান্তদের সংখ্যাও বেড়েছে সমহারে। এমন অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় বাইরে থেকে ভ্যকসিন কিনে চিকিৎসা নিতে রীতিমত ভোগান্তিতে রয়েছেন সেখানকার গরীব-অসহায় অক্রান্তরা।
এ ব্যপারে পাইকগাছা হাসপাতালের ডাঃ প্রশান্ত কুমার চলতি মৌসুমে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের সঠিক সংখ্যা দিতে না পারলেও প্রায় প্রতি দিনই আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে যান বলে জানান। এসময় তার কাছে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাক্সিনের মজুদ বা সরবরাহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আক্রান্তদের চেয়ে ভ্যাক্সিনের সরবরাহ কম থাকায় তারা বাইরে থেকে ভ্যাকসিন ক্রয়ের পরামর্শ দেন তারা।
এব্যাপারে পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ভ্যাক্সিন না থাকায়,বাইরে থেকে ভ্যাক্সিন ক্রয়ে তাদের দাম ও ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। এমন পরিস্থিতিতে পৌর ও উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বর্তমানে বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের উপদ্রব অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেড়েছে। অধিকাংশ নির্জন এলাকায় দলবদ্ধ কুকুর প্রায়ই ধাওয়া করছে পথচারীদের। বিশেষ করে স্কুল গামী শিক্ষার্থীরা রয়েছে অনেকটাই অরক্ষিত। প্রায়ই কুকুরদের তাদের পিছু নিতে দেখা যায়। কুকুরের উপদ্রবে বিভিন্ন স্কুলে কোমলমতিদের উপস্থিতিও হ্রাস পেয়েছে। ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মোমিন গাজী বলেন, তাদের এলাকায় মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখিরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা পশু হাসপাতালের কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ ইকবল বলেন,তাদের কাছে প্রায়ই কুকুরের আক্রান্ত গবাদি পশুর চিকিৎসা নিতে আসছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ভ্যাক্সিন বা ওষুধের সরবরাহের ব্যাপারে তিনি বলেন,যতক্ষণ তাদের কাছে মজুদ থাকে ততক্ষণ তারা তা সরবরাহ করেন। না থাকলে বাইরে থেকে আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন,কুকুর নিধনে অভিযানের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাগলা কুকুরের উপদ্রব বন্ধে তাদের ভ্যকসিনের কথা থাকলেও তবে এই মূহুর্তে তাদের কাছে কোন প্রকার ভ্যাকসিনের সরবরাহ বা মজুদ নেই বলে জানান। ঠিক কবে নাগাদ আসতে পারে সে বিষয়েও তার কাছে নেই কোন তথ্য।
সর্বশেষ বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের উপদ্রব এবং তা নিয়ন্ত্রণ বা চিকিৎসা উপকরণ সংকটে রীতিমত আতংকে দিনাতিপাত করছেন পাইকগাছাবাসী। এব্যাপারে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here