পাইকগাছায় এক শিক্ষকে নিয়োগ বাতিল ও গৃহিত অর্থ ফেরতের সুপারিশ

0
241

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি করায় খুলনার পাইকগাছায় এক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ও এ পর্যন্ত গৃহিত যাবতীয় বেতন ভাতা ফেরতের সুপারিশ করেছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের অডিট কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ উদ্দীন।জানা যায়, উপজেলার শহীদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শংকর প্রসাদ মুনি জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি করছেন। যা ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখের অডিট কর্মকর্তার ডিআইএ/খুলনা/৪৪০এস নং স্মারকে দেখা যায়। শংকর প্রসাদ মুনি ১ জুলাই ২০০২ তারিখে চাকরিতে যোগদান করেন। সে থেকে সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। যাতে উক্ত তারিখ পর্যন্ত তিনি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ১৩টাকা উত্তোলন করেন। অডিট কর্মকর্তার রিপোর্টে সনদপত্রটি জাল সন্দেহ হলে তিনি জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বগুড়াতে যাচাইয়ের জন্য প্রেরণ করেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করে উক্ত নামে ১৩৪০৫ নং সনদপত্র প্রদান করেন নাই বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ৭ অক্টোবর’১৭ এর ৫৭.২১.০০০০.০০৭.৩৬. ০০১.১৭-১১৩৩ নং স্মারকে পরিচালক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত পত্রে দেখা যায়। এদিকে, ৩০ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত গৃহিত অর্থ ফেরত ও নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হলেও এরপরও তিনি আরো ২ বছর ধরে বেতন ভাতা সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে চলেছেন। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরির সুবাদে বেতন ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করা চরম অপরাধ। এর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। শিক্ষক শংকর প্রসাদ মুনি জানান, তার কাগজপত্র সবই সঠিক। পুনরায় তদন্ত করার জন্য প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবদীন জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। যেহেতু মন্ত্রণালয়ের বিষয় সে কারণে আমার বা আমাদের কিছু করার নেই।

খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here