পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ অফিস এখন দুর্নীতির আগ্রাসন

0
222

এম এম আতাউর রহমান (জীবন),জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে গ্রাহকদের হয়রানী ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অফিসের লোকজন ও মধ্যস্বত্বভোগী দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা।
এ চক্রের গ্যাঁড়াকলে আটকে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে,নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ১০০ টাকা ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। মিটার বাবদ ৪০০ টাকা ও সদস্য ফি বাবদ ৫০ টাকা জমা দিতে হবে।পল্লীবিদ্যুতের নিজস্ব অর্থায়নে এলাকায় লাইন জরিপ, বৈদ্যুতিক লাইনের খুঁটিসহ সংযোগ দেয়ার লাইন স্থাপনের কাজ করবে। এখানে মধ্যস্বত্বভোগী কিংবা দালাল চক্রের হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই।
গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আবেদন করে মাসের পর মাস অফিসে ধরনা দিয়েও কাজ হয়না।অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ঠ দালালদের টাকা দিলে দ্রুত বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রতি গ্রাহককে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা দিতে হয়।টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা। গোটা অফিস বেপরোয়া।অফিসের লোকজ ও দালাল চক্র ঘিরে বসেছে।ন্যূনতম সেবা পাওয়া দুস্কর।তাছাড়া অফিসের লোকজন গ্রাহকদের সাথে প্রায় রুঢ় আচরণ করে।
এদিকে নতুন সংযোগ দেয়ার নাম করে উপজেলার ধরনজি ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে ৪০ টি বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে স্থানীয় দালাল চক্র।প্রতিবাদ করায় এবং টাকা না দেয়ায় ২ টি বাড়িতে ড্রপ তার লাগানো হয়নি। যেসব পরিবার টাকা দেয়নি সেসব পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেনা বলে হুমকিও দিচ্ছে দালাল চক্র।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বেড়াখাই গ্রামের গ্রাহক নাজমুল হক সবুর জানান,গত তিন মাস ধরে ভুতুরে বিল আসছে।প্রতি মাসে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা করে বেশি বিল পরিশোধ করছি। ২ মাস পূর্বে মিটার পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছি।১০ কি:মি দূর থেকে ৮ বার অফিসে গিয়েছি কিন্তু অফিসের লোকজন আমাদের মানুষ মনে করেনা।তিনি আরও বলেন এক বছর পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
পাঁচবিবি জোনাল অফিসের ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাসের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অফিসের কেউ জড়িত থাকলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here