পর্যটক পদচারণায় মুখরিত সুন্দরবনের করমজল

0
546

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
কোরবানির ঈদের ৩দিন অতিবাহীত হলেও আনন্দের রেশ এখনো কাটেনাই মানুষের মন থেকে।এক ঘেয়েমি কাজ আর কাজ মন চাঙ্গাঁ করতে ঈদের দির্ঘ ছুটিতে শুধু ভ্রমন পিপাষুরা যেন হাফ ছেড়ে বেচেগেছে। যার যেথায় পছন্দ,কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ বা একা আবার কেউ তার মনের পছন্দের মানুষ টিকে নিয়ে অমনি দে ছুট। তবে বেশীর ভাগ ভ্রমন পিপাষুরা ছুটছে প্রকৃতীর অপরূপ লীলা বৈচিত্রে ঘেরা সবুজ শ্যামল দৃষ্টি নন্দন ম্যানগ্রোব সুন্দর বনের করমজলে। প্রতিনিয়ত-ই এখানে দেশী বিদেশী পর্যাটকদের ভীড় থাকে, তবে ঈদের ছুটিতে দেশী বিদেশী পর্যটক পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের করমজল যেন মানুষের মেলা বসেছে। দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতেহচ্ছে বন প্রহরীদের। বনবিভাগ জানিয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে আশা পযর্টকদের এ ভীড় থাকবে আরো কয়েকদিন ধরে। ঈদের ছুটিতে দেশী বিদেশী পর্যাটক বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত সকলেই।
প্রাকৃতিক রক্ষা কবজ ম্যানগ্রোব সুন্দরবন। এ বন শুধু দেশের নয়, বিশ্বের দর্শনীয়স্থানগুলোর মধ্যেও অন্যতম। বিশেষ করে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব ও ছুটির দিনে দেশী-বিদেশী পর্যটক ছুটে আসে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পটটি দূরত্বের দিক দিয়ে সবচেয়ে কাছের ও দর্শনীয় হওয়াতে সাধারণত লোকজনের ভিড় এখানেই বেশি হয়ে থাকে। করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ফুট টেইলার, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, কৃত্রিমভাবে আটকে রাখা কুমির, হরিণ, খোলা হরিণ ও বানরসহ বিভিন্ন পশু-পাখি এবং গাছপালা দেখে আনন্দ উপভোগের মাধ্যমে নিভৃত করেন তাদেও ভ্রমনের পিপাষা। এছাড়া সুন্দর বনে হারবাড়ীয়া, কটকা, কচিখালীও হিরোন পয়েন্ট পর্যটনকেন্দ্র থাকলেও পর্যটকরা করমজল কে সহজেই বেচে নেয়। যেমন দুরত্বের দিকদিয়ে কাছে, যাতায়েত ও সহজলভ্য তাই করম জলে বার মাস ই পর্যাটকের উপস্থিতি থাকে। ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও গোলাম রহমান বিটু বলেন, এ শিল্পের বিকাশে বনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরো বেশি আকর্ষনীয় ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়োজন।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ভিড় হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তাদের সার্বিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বপ্ল সংখ্যক প্রহরীদের। তারপরও সাধ্য অনুযায়ী সেবা ও নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি আরো বলেন, সরকারী বরাদ্দের অভাবে করমজলে দর্শনার্থীদের চাহিদানুযায়ী দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here