খবর ৭১: নিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার তাদের দলীয় লোক দিয়ে রিট করিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচন স্থগিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (৬ মে) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধমের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একই ভাবে ঢাকা সিটি করপোরশন উত্তরের নির্বাচন স্থগিত করেছে। গাজীপুরে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হতাম। কিন্তু সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজকে দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের লোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনের পরও জনগণ বিএনপির পক্ষে তথা ধানের শীষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তথা সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
নির্বাচন স্থগিত করায় বিএনপির বিজয় হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচন স্থগিত করায় আমাদের বিপুল বিজয় হয়েছে আর সরকারের পরাজয় ঘটেছে।’
জাতীয় নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কা আছে কিনা- সাংবাকিদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণ এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ইসি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা সময়ের দাবি; যেটা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও বলেছেন।’
সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার মামলা, গ্রেফতার গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করার পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আটক করা হয়েছে। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে তার মুক্তির দাবি করছি এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী , বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
