মো.আবু সাইদ,পত্নীতলা (নওগা) প্রতিনিধি: নওগার পত্নীতলায়১৩৩ টি সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৩ টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩৭ টি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা , লাইব্রেরী মালিক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে ৩০ হতে ৭০ হাজার টাকা বিনিময়ে কমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অবৈধ গাইড বই। সরকার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে জন্য সৃজনশীল পদ্ধতি যুক্ত করেছে। একই সাথে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দিতীয় শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত গাইড বইয়ের ব্যবহার রিষিদ্ধ করেছে। নীতিমালা উপেক্ষা করে অর্থ পিপসু প্রধান শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রকাশী সংস্থার ও নাইব্রেরী মালিকদের কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহন করার পর শিক্ষার্থীদের চাপে রেখে ২য় শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত গাইড বই কিনতে বাধ্য করছেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
সরজমিনে উপজেলার নজিপুর, পুইয়া, বরইল, দোচাই, রঘুনাথপুর, বরহ্রট্টি, চন্ডিপুর, গগনপুর, আমাইড়, , ঘোষনগড় , খিরশিন, কুন্দন, নাদৌড়-বেংডোম, নাগরগোলা, পতœীতলা, গোপিনগর, কাটাবাড়ী, আমন্ত, বাকরইল, দিবর, বড় বিদিরপুর, ওয়ারিখন্ডা মধইল, সিধুয়া, উষ্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পত্নীতলায় উচ্চ বিদ্যালয় , নজিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গাহন উচ্চ নিদ্যালয়, মধুইল উচ্চ বিদ্যালয় , শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বাকরইল উচ্চ বিদ্যালয়, চকশ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নজিপুর সিনিয় ফ্রাজিল মাদরাসা, করমজাই ফাজিল মাদরাসা , সন্তোষ পাড়া মাদরাসারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগে জানায়, পাঞ্জেরী, যুপিটার, লেকচার, আসার আলো, লেপচুন, প্রাইম ও আল-ফাত্তাহ গাইড বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। এদিকে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ব্যবহার বন্ধের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা না থাকায় শিক্ষকরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে পরেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অর্থের অভাবে গাইড বই কিনতে না পারায় শিক্ষকরা তাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করছেন।
এ ব্যপারে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও উত্তরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ইজাবুল হক বলেন, শিক্ষকরা কোন শিক্ষার্থীকে গাইড বই কিনতে বাধ্য করে নি। বরং অভিভাবকরাই তাদের সন্তানদের গাইড বই কিনে দিচ্ছে। পত্নীতলায় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মজিবর রহমান বলেন, জোরর্পূব কোন ছাত্র-ছাত্রীকে গাইড বই কিনতে বলা হয় নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ওয়াজেদ আলী মৃধা জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, জরিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মো.আবু সাইদ
খবর৭১/ইঃ