পঙ্গু ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের সমালোচনা:জাতিসংঘের

0
331

খবর৭১:গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে দুই পা হারানো এক পঙ্গু ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনার জায়েদ রাদ আল হুসেইন।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেওয়ার পর ফিলিস্তিনিজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় সবার সঙ্গে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী সে ব্যক্তিও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রতিবাদে অংশ নেন।
আরো পড়ুন : ফিলিস্তিন সংকট নিরসনের উপায় খুঁজতে জাতিসংঘে রাশিয়ার আহ্বান

একটি গুলি এসে লাগে। ইসরায়েলি স্নাইপারেরা সেই গুলি ছোঁড়ে বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।

মৃত্যুর আগে আবু থুরাইয়াহ গাজা উপত্যকার ইসরায়েল সীমান্তে প্রতিবাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। ইসরায়েলি স্নাইপারের গুলিতে নিহত হওয়ার সময়ও তার হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। ফিলিস্তিনি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠা আবু থুরাইয়াহর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার মানুষ গাজা শহরে উপস্থিত হয়েছিলেন।

হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ইব্রাহিম আবু থুরায়েহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় একটি বিবৃতি দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনার জায়েদ রাদ আল হুসেইন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আবু থুরায়হ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য হুমকি ছিলেন তা কোনোভাবেই বলা যায় না। গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের কর্মীরা জানিয়েছেন তার ওপর বলপ্রয়োগ করা হয়েছিল।

বিক্ষোভের ১০ দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান আবু থুরাইয়াহ। নিহত হওয়ার দুই দিন আগে ইব্রাহিম আবু থুরাইয়াহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করেছিলেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, জায়নবাদী দখলদার সেনাবাহিনীর প্রতি আমার বার্তা, এই ভূখণ্ড আমাদের। আমরা এটার অধিকার ছেড়ে দেব না। যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করতে হবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে পাথর, বিস্ফোরকের পাশাপাশি টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ছুড়ে মারছিল যারা তাদের লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়।

তবে জায়েদ রাদ আল হুসেইন বলেন, আবু থুরায়ার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ছিল। যে গুলি করেছে তার সেটা না বোঝার কোনও কারণ নেই। এটা খুবই অমানবিক কাজ। তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, সেদিন ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আবু থুরাইয়াসহ চারজন নিহত হন। আহত হন ১৫০ জন।

২০০৮ সালের এপ্রিলে গাজার আল-বুরেইজ শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আবু থুরায়া দুই পা ও একটি কিডনি হারান। হুইল চেয়ারে করে গাজা শহরে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে মিছিলে যোগ দিতেন।
খবর৭১/জি:

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here