উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নড়াইলে ১০ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’র জাঁকজমক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে। শহরের সুলতান মঞ্চ চত্বরে মেলার মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। বিস্তারিত উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও এসএস সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি নড়াইলে কর্মরত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, নড়াইল পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুর রহমান হিলু প্রমুখ। বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সুলতান মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চিত্র প্রদর্শনী, গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব, সুলতান পদক প্রদান, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলাকে জাঁকজমকভাবে উদযাপন করতে মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের স্টল বসেছে। তবে, প্রথমদিনে মেলা তেমন জমে উঠেনি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এসএম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’, ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ ছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার। সুলতানের শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু ছিলো-কৃষক, জেলে, তাঁতি কামার, কুমার, মাঠ, নদী, হাওর, বাঁওড়, জঙ্গল, সবুজ প্রান্তর প্রভৃতি। চিত্রাঙ্কনের পাশাপাশি বাঁশি বাজাতেও পটু ছিলেন তিনি। তার সঙ্গী ছিলো-বিষধর সাপ, ভল্লুক, বানর, খরগোশ, মদনটাক, ময়না, গিনিপিক, মুনিয়া, ষাঁড়সহ বিভিন্ন পশু-পাখি। সুলতান হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি মোটেও পছন্দ করতেন না বলে জানিয়েছেন চিত্রশিল্পী বলদেব অধিকারীসহ সুলতান ভক্তরা।
খবর ৭১/ ই: