নড়াইল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বিলুপ্ত প্রায় বাঁশ ঝাড়

0
1919

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে বাঁশ ঝাড় বিলুপ্ত প্রায়। বাঁশ ঝাড় উৎপাদনে অনাগ্রহের কথা জানান বাঁশ চাষিরা। এছাড়া বাঁশ ঝাড়ের রোগ বালাই নির্মূলে তেমন কোন উদ্যোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই বাঁশ ঝাড় কেটে অন্য ফসল উৎপাদন করছি। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে,একসময় নড়াইলের তলারামপুর হাট থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের বাঁশ কেনাবেচার হিড়িক চলত ।বেশ কিছু মাস দেখা গেছে, চাষাবাদের জমিতে বাশেঁর পরিবর্তে অন্য ফসল উৎপাদন করছে। গ্রামের অন্যান্য বাঁশ চাষীদের একই অবস্থা। এদিকে নড়াইলের বাঁশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এ শিল্পের সাথে জড়িতদের ভালো কাটছে না দিনকাল। নড়াইলের বাঁশের জেলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অসহযোগীতা, রোগ বালাই, অন্য ফসলে আগ্রহের ফলে  বাঁশের উৎপাদন ক্রমেই কমছে।  নড়াইলের অঞ্চল সমূহে এখনও  বাঁশের প্রচুর কদর থাকা সত্ত্বেও উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাশঁ শিল্পের উপর এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। এক সময় এ অঞ্চলে বাঁশ ঝাড়ে ছেয়ে ছিল গ্রামের পর গ্রাম। ছিল ছায়া সুনিবিড়। বর্তমানে বাঁশ ঝাড় কমে যাওয়ায় গ্রামের সেই চিরাইত রুপ আর নেই। নড়াইলের তলারামপুর হাট বাজারগুলো থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের বাঁশ কেনাবেচার হিড়িক চলত। কিন্তু বর্তমানে আগের মত সমাগম আর দেখা যায় না। এ জেলায় বাশঁ উৎপাদিত অঞ্চলসমূহ মূলত আগের মত আর বাঁশঝাড়ে বাঁশ নেই। যে টুকু রয়েছে প্রায় রোগাক্রান্ত ও শুকনা। কোথাও কোথাও বাঁশঝাড় কেটে অন্য ফসল সবজি কিংবা কলার চাষ করতে দেখা গেছে। নড়াইলে যদিও কিছু ভালো মানের বাঁশ রয়েছে এসবের দাম প্রচুর। একটি ভালো মানের বাঁশ যেখানে ৫/৭টাকায় বিক্রি হত মূল্য বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এ শিল্পের বাঁশের তৈরী জিনিস পত্রের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নানা জটিলতার কারণে এ শিল্পের কাজকর্ম ঝিমিয়ে পড়েছে। বাঁশের তৈরি ডালি, কুলা, দোলনা, সরকি, আলনা, চাটাই, ডারকি ও বিভিন্ন খেলনা আজও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। তাছাড়া ঘর-বাড়ি, সাঁকো কিংবা বাধ নির্মানে বাঁশের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ শিল্পের সাথে জড়িতরা নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাঁশের তৈরী জিনিস পত্রের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এ শিল্পের কাজকর্ম তেমন ভালো কাটছে না। অনেক সময় হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়।  বিষয়টির উপর নজর রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাঁশ শিল্প ধরে রাখতে বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্পের সাথে জড়িতদের টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here