নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফির অসহায় শিশু উর্মির উন্নত চিকিৎসার জন্যে ৫০ হাজার টাকা প্রদান

0
250

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে নড়াইলের দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে জেলার উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ নামের একটি ফাউন্ডেশন গঠন করেছেন। তাঁর স্বপ্নের নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের সহায়তার লক্ষ্যে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি নড়াইল বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে তহবিল গঠনের জন্য অনুষ্ঠিত হয় “সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কনসার্ট”। যে কোন কাজের উদ্দেশ্য সৎ ও মহৎ থাকলে এবং সকল মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে দেখার মানসিকতা থাকলেই সে কাজ সার্বজনিনতা লাভ করে। আর এ কনসার্ট হতে গঠিত তহবিল থেকে কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো: সালাম শেখের দিনমজুর ছেলে মো: রাজিব শেখের শিশুকন্যা উর্মি শেখের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফাউন্ডেশনের কনসার্ট তহবিল হতে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। গত ৪ মার্চ মাশরাফি বিন মুর্তজার পরামর্শে নড়াইল চৌরাস্তা গাজী আলী করিম সুপার মার্কেটের ২য় তলায় নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কার্যালয় হতে শিশুকন্যা উর্মি শেখ ও পিতা মো: রাজিব শেখের হাতে শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য এ অর্থ তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: নাহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী বসিরুল হক, কোষাধ্যক্ষ মীর্জা নজরুল ইসলাম, সহকারি কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ হুমায়ুন আমীরসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। এ সময় উর্মির বাবা, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তার গলায় অপারেশন করা লাগবে এবং একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করা লাগবে। এদিকে বাংলাদেশের চিকিৎসক আমার মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মাদ্রাজ হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দিয়েছে। আমি একজন দিনমজুরী দিয়ে কোন রকম সংসার চালাই। নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন আমার মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে তার জন্য আমি ও আমার পরিবার সকলের জন্য কাছে দোয়া করি। আপনারা আমার মেয়ের সুস্থতার জন্য দোয়া ও সহযোগিতা করবেন। সে আরো জানায়, আমি নড়াইলের এসপি অফিসের পিছনে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকি। আমার মেয়ের বয়স ১১ বছর। সে গত বছর ৯ অক্টোবর ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ এ পিষ্ট হয়ে আমার মেয়ের একটি পা ও একটি হাত পুড়ে যায়। গত তিন মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ণ ইউনিটে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে চিকিৎসক অপারেশন করে উর্মির বিদ্যুতে পুড়ে যাওয়া ১টি হাত ও ১টি পা কেটে ফেলে দিয়েছে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here