নড়াইলে হাট বাজারে ছেয়ে গেছে সজনে ডাটায়!

0
499

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইলের হাট বাজারে, রূপগঞ্জ তুলারামপুর বাজার, মাইজপাড়া বাজার, গোবরা বাজার, চাচড়ী বাজার, হোগলাডাঙ্গা বাজার, দারিয়াপুর বাজার, সিংগা শোলপুর বাজার, শেখহাটি বাজার, নলদী বাজার, মিঠাপুর বাজার, লাহুড়িয়ার কালিগঞ্জ বাজার, মানিকগঞ্জ বাজার, নড়াইলের লোহাগড়া বাজার, লক্ষ্মীপাশা বাজার, নড়াইলের দিঘলিয়া বাজার, মহাজন বাজার, নড়াইলের বড়দিয়া বাজার, খাশিয়াল বাজার, পুঠিমারী বাজার, নড়াগাতী বাজার, কালিয়া বাজার, পুরুলিয়া বাজারে সজনে ডাটায় সয়লাব হয়ে পড়েছে। দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা খাদ্য তালিকায় সজনে ডাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
কৃষি প্রধান নড়াইল অঞ্চলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গুলোতে কম বেশি সজনে গাছ চোখে পড়ে। কৃষি প্রধান নড়াইল অঞ্চলে সজনের বাণিজ্যিক চাষ শুরু না হলেও ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই বসত বাড়ীর পতিত জমি, রাস্তার পাশে, বেরি বাঁধে সজনের গাছ লাগিয়ে থাকেন। ফলনও ভালো হয়। বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এ বছর নড়াইলে সজনে ডাটার ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় হাট বাজারে প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে এ পুষ্টিকর সবজি। ক্রেতারাও বাজারের তালিকায় সজনে ডাটাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। রসনা বিলাসের অন্যতম উপাদানে পরিনত হয়েছে সজনে ডাটা।
নড়াইল সদর, কালিয়া, নড়াগাতী, লোহাগড়ার ছোট-বড় হাট বাজার ও মোকাম গুলোতে গ্রীস্মকালীন যাদুকরী ফল সজনে ডাটায় ছেয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতে সজনে ডাটার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা থাকলেও এখন তা নেমে সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সজনে প্রায় তিনশ’ রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনী ও লিভারকে সচল রাখে সজনে ডাটা।
জানা গেছে, সজনে এক বিশেষ ধরনের সবজি। ইংরেজিতে সজনের নাম ড্রামস্ট্রিক। সজনে গাছ মাঝারী ধরনের হয়ে থাকে। সজনে গাছ সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এর কাঠ খুব নরম। এর বাকল আঠাযুক্ত। সজনে গাছে মাঘ ফাল্গুন মাসে ফুল আসে। সজনে ফুলের রং সাদা। সজনের আদি নিবাস ভারত ও পাকিস্তানে। সজনের ডাটা উৎকৃষ্ট মানের সবজি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সজনেকে ‘যাদুকরী গাছ’ বলা হয়। এক কথায়, বহুগুনে গুনান্বিত সজনে।
চিকিৎসকদের মতে, ক্যালোরিয়াম, খনিজ, লবন ও আয়রন সহ প্রোটিনযুক্ত সবজি সজনে ডাটা। এছাড়া ভিটামিন এ,বি,সি সম্মৃদ্ধ সজনে ডাটা মানব দেহের জন্য খুব উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসুতি মহিলাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে ‘ঔষধি সবজি’ হিসেবেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সজনে গাছ তৈরী করতে চারা রোপন করতে হয় না। যে কোন ফাকা জায়গায় গাছের ডাল পুতে রাখলেই ধীরে ধীরে এর ডালপালা বেড়ে গাছ বড় হতে থাকে। ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যেই গাছে সজনে ধরতে শুরু করে।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here