উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের আমাদা-হামারোল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একজন স্কুল শিক্ষককে এলোপাথাড়ী ভাবে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমান ওই গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীপাশা ইউপির আমাদা-হামারোল গ্রামে কাশেম খাঁন সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের আলী আহম্মদ খাঁন সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গতকাল শুক্রবার ভোর ৭ টার দিকে আমাদা-হামারোল গ্রামের আবুল হোসেন খাঁনের ছেলে ও তালবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন খাঁন সনেট(৩০) দাদীর মিলাদ মাহফিলের বাজার করার উদ্যেশ্যে মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী দিঘলিয়া বাজারে রওনা হয়। পথিমধ্যে এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন মল্লিকের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আলী আহম্মদ খাঁন সমর্থিত জাহিদুল খাঁর নেতৃত্বে নাইচ,নজরুল,জিম,টুলু,সোহেল,আরমানসহ ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন খাঁন সনেটের গতিরোধ করে তার ওপর চড়্ওা হয়ে রামদা ও ছ্যানদা দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ী ভাবে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে।এ সময় সন্ত্রাসীরা তার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার এসআই শাহিন আহম্মেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খবর ৭১/ এস: