নড়াইলে সরকারি রাস্তায় অবৈধভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল

0
381

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ শনিবার (১৬ মার্চ) সরকারি রাস্তায় অবৈধভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল নেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানহানি মামলার বাদী,জেলা পরিষদের সদস্য ও আ’লীগ নেতা মো.রায়হান ফারুকী ইমামসহ ২৫টি পরিবারের শতাধিক মানুষ। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী রায়হান ফারুকী কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ও নড়াগাতি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকালে ৫০ বছর ধরে ২৫টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের কাঁচা সড়কে টিনের বেড়া দিয়ে আংশিক দখল ও বাকি রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে রেখেছেন জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাপাইল গ্রামের বাসিন্দা টিটুল শেখ,সদস্য রুস্তম হাওলাদার ও ছাত্রদল নেতা রাজিব হাওলাদার এবং তাদের লোকজন। ফলে গত তিনদিন ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের স্কুল পড়ুয়া সন্তানরা। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ভূমি জরিপে উপজেলার ২৯ নং চাপাইল মৌজায় ১ নং (ডিপি) খাস খতিয়ানের এস.এ ১৮৪ ও ৭০ এবং হাল ৩৯২ দাগে ১৩ শতাংশ জমি কাঁচা রাস্তা শ্রেণী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। ওই রাস্তাটি ৫০ বছর ধরে চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম,বসার খাঁ,টিপু ভূঁইয়া,মিটু ভূঁইয়া,আশরাফুল,নাজমুল শরীফ,ভোলা শেখ ও ইউসুফ শেখসহ ২৫টি পরিবার এবং সর্বসাধারণ চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের আওতাভূক্ত এই রাস্তায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পে ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি বক্সকালভার্ট ও দুইটি পাইপ কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থকে বহুবার মাটি কেটে রাস্তাটি সংস্কারও করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এস.এ ৭১ নং দাগের অংশীদার শফি শেখ ও রুস্তম হাওলাদার গং ৪ শতাংশ জমির মালিক। কিন্তু তারা জোরপূর্বক সরকারি জমিসহ মোট ১৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে ভোগদখল করছেন।
যে কারণে গোপালগঞ্জ সীমান্তের চাপাইল ব্রীজের গোড়া থেকে দক্ষিণ অভিমূখী ওই রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন দখলদাররা। এমনকি সরকারি রাস্তার অধিাকাংশই টিনের বেড়া দিয়ে দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।
ওই মামলা দায়েরের কারণে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রায়হান ফারুকীর ওপর ভীষণভাবে ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এরই জের ধরে স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী ওই নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের চলাচলের প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত টিটুল শেখ যুগান্তরকে বলেন,‘গ্রাম্য রেষারেষির কারণে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রয়োজনে পরবর্তীতে খুলে দেয়া হবে।’
নড়াগাতি থানার ওসি মো.আলমগীর কবির, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বলেন,‘আমি এবিষয় মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করছি।’ কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমূল হুদা, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। উচ্ছ্বেদের প্রক্রিয়া চলছে।’
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here