নড়াইলে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় প্রাইভেট শিক্ষকের ছুরিকাঘাতে আহত-৩ গ্রেফতার-১

0
300

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ রবিবার (১৭,মার্চ) প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ার অভিযোগে নড়াইল সদরের সিঙ্গিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, তার দাদী ও প্রতিবেশি এক শিশুকে গুরুতর জখম করেছে প্রাইভেট শিক্ষক ও তার লোকজন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়া (১১) ও তার দাদী জাহানারা বেগম (৫০) এবং প্রতিবেশি শিশু হেনা (৮)। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় চারজনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। আহত শিশু হেনাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিঙ্গিয়া গ্রামের রকিবুল ইসলাম মিঠু একই গ্রামের রতন বিশ্বাসের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়াকে প্রাইভেট পড়ান। একপর্যায়ে প্রাইভেট শিক্ষক মিঠু স্কুলছাত্রী রাবেয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি রাবেয়া তার পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাবেয়াকে তাদের বাড়ি থেকে মিঠুসহ তার লোকজন তুলে নিতে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধা দিতে গেলে রাবেয়া ও তার দাদী জাহানারা এবং প্রতিবেশি শিশু হেনাকে ছুরিকাঘাত করে মিঠু ও তার লোকজন। এ ঘটনায় তাদের হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। আহতদের প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
নড়াইল থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় মিঠুসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে উজ্জ্বল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে নড়াইলের আফরা গ্রামে শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করল পুলিশ, নড়াইলের আফরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষকের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে নড়াইলের শেখহাটি ইউনিয়নের আফরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নড়াইলের শেখহাটি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এএসআই রতন পাল জানান, বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে কনে সোমা খানমের (১৬) বাবা রবিউল মোল্যার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর আইসিটি শিক্ষক জাহিদ হোসেন (২৭) ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে কনের বাবা তার মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিলে নড়াইল সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম)-এর নির্দেশে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং পালিয়ে যাওয়া বর ও তার বাবাকে ধরতে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here