নড়াইলে প্রচন্ড গরমে পানি শূন্যতা দূর করেতে তালের শাঁস বিক্রি বেড়েছে

0
225

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে প্রচন্ড গরমে পানি শূন্যতা দূর করেতে তালের শাঁস ও ডাব বিক্রি বেড়েছে । জেলা শহরে জ্যৈষ্ঠ মাসের তীব্র গরমে একটু আরামের জন্য তাল শাঁসের কদর বেড়েছে। তবে রমজান মাস শুরু হওয়ায় বিক্রি কছিুটা কমেছে। প্রচুর পরিমাণ তাল জেলা শহর ও রাজধানী ঢাকা শহরে সরবরাহ হচ্ছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় রিপোটে, জানা যায়, নড়াইল থেকে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ ট্রাক তাল সরবরাহ হচ্ছে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। এলাকার ব্যবসায়ীরা ঢাকা কারওয়ান বাজারে পাইকারী বিক্রয় করছে। গরমে তালের শাঁস পানি শূন্যতা দূর করে। দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন। খাবারে রুচি বাড়িয়ে দেয়। তাল শাঁসে থাকা উপকারী উপাদান লিভার সমস্যা ও রক্ত শূন্যতা দূরিকরণে দারুণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টি
শক্তি উন্নতি করে। তাল শাঁস বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে ভূমিকা রাখে। তাল শাঁস জেলীর মত হওয়ায় খেতে খুব মুখোরোচক এবং শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। পাঁকা তালের মজা বের করে রান্না করে খাওয়া যায়। তালের বড়া, হালুয়া সহ নানা ধরনর খাবার তৈরী করা যায়। তাছাড়া তালের আটি কেঁটে আটির ভীতর থেকে সাদা রঙ্গের শাঁস বের করে খাওয়া যায়। যা খেতে খুব সুস্বাধু। চলতি মৈাসুমে অ লে তালের প্রচুর ফলন হয়েছে। তাল গাছের পাতার প্রতিটি গোড়ায় তালের কাঁদিতে ভরে গেছে। ছোট-বড় কাঁদি হিসাবে ১০/৪০ টি পর্যন্ত তাল একটি কাঁদিতে ধরেছে।বর্তমানে এ এলাকায় দুই রকম তালের জাত দেখা যায়। একটি কালছে রঙ্গের আর একটি ধুষর হলদে বর্ণের। স্থানীয় বাজারে এক একটি তাল দুই থেকে চার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি তালে দুই থেকে চারটে আটি হয়। প্রতিটি আটির ভিতরে শাঁস। তাল ছোট-বড় হিসাবে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাল গাছের মালিকের কাছ থেকে গাছ চুক্তি ২শত থেকে ৫শত টাকায় তাল ক্রয় করছে। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রয় সহ জেলা ও ঢাকা শহরে তাল সরবরাহ করছে। বড় সাইজের তাল গুলো অধিক দামে বিক্রয়ের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। নতুন বাজার থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ ট্রাক তাল ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী জানান, প্রতি সপ্তাহে তিনি ১ ট্রাক তাল ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাইকারী বিক্রয়ের জন্য পাঠায়। এক ট্রাকে প্রায় ২০ হাজার তাল ধরে। কারওয়ান বাজারে এক ট্রাক তাল প্রায় ১ লক্ষ টাকায় বিক্রয় হয়। ট্রাক ভাড়া ২০ হাজার এবং শ্রমিক ও গাছিদের খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। তাল গাছের সব কিছু মানুষের উপকারে আসে। তাল কাছের গুড়ি থেকে ঘরের কড়ে ও বর্গা তৈরী হয়। তালের পাতা ঘরের ছাউনী ও জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। তা ছাড়া তাল গাছ প্রাকৃতিক ঝড় প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তাল গাছ ক্ষেতের আইলে, বাগান ও অনাবাদী জায়গায় অবহেলা ও অনাদরে বেড়ে ওঠে। তাল গাছ মানুষের এতো উপকারে আসার পরও প্রতি বছর এলাকা থেকে শত শত তাল গাছ কেঁটে ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রতি বছর জেলার বিভিন্ন এলাকার তালের আটি রোপন করা হচ্ছে। তাল গাছ মানুষের উপকারী বন্ধু। তাল গাছ প্রাকৃতিক ঝড় ও ভূমি ক্ষয়ে রোধ করে। তাই কৃষক ও এলাকাবাসীকে তাল গাছ না কেঁটে আরো গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here