নড়াইলে পুলিশ লাইনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত

0
297

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম নিঃসন্দেহে একজন মৎস্য প্রেমিক মানুষ তা প্রমাণ করলেন তাঁর কাজের মাধ্যমে। আজ সোমবার (২১-মে,২০১৮) নড়াইল জেলা পুলিশ লাইনের বিভিন্ন পুকুরে মোট ৭০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করায় নড়াইলবাসীও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে নড়াইল পুলিশ লাইনে অবস্থানরত সকল পুলিশ সদস্য সন্তুষ্ট হয়েছেন। এ সকল পুকুরে উৎপাদিত মাছ পুলিশ সদস্যদের আহারের কাজে ব্যবহৃত হবে বলে পুলিশ লাইন সূত্রে জানা গেছে। বাজারে ফরমালিনযুক্ত মাছ মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর বিবেচনা করে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম এ মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নড়াইল পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে চলতি মাসের ৫ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত নিজ হাতে এ সকল পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন পুলিশ সুপার। সবশেষ সোমবার (২১ মে) সকালে নড়াইলে পুলিশ লাইনে অবস্থিত একটি পুকুরে ১০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন। এ সময় নড়াইল পুলিশ লাইনের আর.আইসহ পুলিশ লাইনে অবস্থানরত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এ বিষয়ে নড়াইল পুলিশ লাইনের আর.আই বলেন, বর্তমান বাজারে ফরমালিনমুক্ত তেমন কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আর এ সকল মাছ মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ সকল মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এ কারণে নড়াইলের পুলিশ সুপার পুলিশ সদস্যদের টাটকা মাছ আহারের লক্ষে পুলিশ লাইনের বিভিন্ন পুকুরে মোট ৭০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম বলেন, আমি নিজেই পুলিশ লাইন মেস পরিদর্শন করেছি। পুলিশ সদস্যরা সর্বদা জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। আর ফরমালিনযুক্ত মাছ খেয়ে তারা অসুস্থ থাকলে মানুষের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে পারবে না। এ কারণে যাতে তারা টাটকা মাছ আহার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে তাই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমি আশা রাখি এসব পুকুরে উৎপাদিত মাছ পুলিশ লাইনের সদস্যদের মাছের ঘাটতি পূরণে সক্ষম হবে। এছাড়াও তিনি নড়াইল জেলার প্রত্যেককে মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহ্বানও জানান। এ প্রসঙ্গে নড়াইলের জমিদারদের শেষ বংশধর উজ্জ্বল রায় জানান, জমিদারদের রেখে যাওয়া ঝিল পুকুরে পুলিশ সুপার নিজ হাতে মৎস্য অবমুক্ত করেছেন। এতে করে একদিকে মাছের চাহিদা পূরণসহ ঝিল পুকুরটিও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। পুলিশ সুপারের এরূপ মহৎ উদ্যোগে নড়াইলবাসীও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকে এ প্রতিবেদকে বলেন, চলতি মাসের ৫ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম শুধু নিজেকে প্রশাসনিক কাজে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তার প্রতিটি পদক্ষেপই প্রশংসনীয়। ক্লিন নড়াইল গ্রীন নড়াইল গড়তেও তিনি নিরলস পরিশ্রম করছেন জেনে নড়াইলবাসী খুবই খুশি হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here