নড়াইলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৪-আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২১জনকে আসামি করে থানায় মামলা

0
697

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের আমাদা গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। থানার এসআই গোবিন্দ বাদী হয়ে ২১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনাম আরো ৩০/৪০জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে আমাদা গ্রাম অনেকটাই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। জানা গেছে, রোববার(২৫ মার্চ) রাতে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের আমাদা গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আসামি গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। ওই গ্রামের আলী আহম্মেদ খানের ছেলে রাঙ্গু খান (২৭), অহিদার খানের ছেলে নাইস খান (২৫), গ্রামপুলিশ দাউদ মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (২৩) ও মন্টু মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আমাদা পশ্চিমপাড়া মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, গ্রামে ডাকাত পড়েছে। এ ঘোষণায় আসামিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও বাবুল হাসানকে আহত করে আসামি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের ৪ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় আহতদেরকে পরে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি, উজ্জ্বল রায়কে, জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।  প্রসঙ্গত, আমাদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় আট মাস ধরে আবুল কাশেম খান এবং প্রতিপক্ষ আলী আহম্মেদ খানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছে। দুটি গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা, বাড়িঘর ভাংচুরসহ পুরো গ্রামে অশান্তি বিরাজ করছে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা-মোকদ্দমা জড়িয়ে পড়েছে দুটি পক্ষের লোকজন। সর্বশেষ গত ২৪ মার্চ ভোরে আবুল কাশেম খানের সমর্থকদের বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় শিশুসহ ৩ জন আহত হন। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের ১৪ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here