উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল-১আসনের এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দলীয় নেতা-কর্মীদের। তবে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।জনগণ আমার সাথে আছে । নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন নিজ দল আ’লীগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, এমপি কবিরুল হক মুক্তি টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিয়োগে টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তানদের চাকরি দিয়েছেন।সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি,টিআর/কাবিখায় লুটপাট করেছেন। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের দূরে ঠেলে অর্থের বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের দলে ভিড়িয়ে হাইব্রিড আ’লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন এমপি মুক্তি। শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিকালে কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে জেলা যুবলীগ কর্তৃক আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীর মাস উপলক্ষে এক শোকসভার অনুষ্ঠানে আ’লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বক্তব্যে এমপি মুক্তির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানা অভিযোগ করেন। এ সময় তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি পরিবর্তনের দাবি করেন।অনুষ্ঠানে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,‘ নড়াইল-১ আসনের রাজনীতি নিয়ে এখন ব্যবসা শুরু হয়েছে। এমপি মুক্তির ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত,এবং আন্তর্জাতিক মূর্তি পাচারকারীসহ নানা অপরাধীরা বিভিন্ন অন্যায়, অনিয়ম, অনাচার করছে। অনুপ্রবেশকারী এমপির নির্দেশে এলাকার আ’লীগের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। এসবের প্রতিবাদ করতেই এখন আমরা আ’লীগের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির মাঠে নেমেছি।’এ সময় এমপি মুক্তির আপন চাচাতো ভাই ও সাবেক কালিয়া পৌর মেয়র বিএম ইমদাদুল হক টুলু তার বক্তব্যে বলেন,‘এমপি মুক্তি সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তাঁর (এমপির) এখন গাড়ি-বাড়ির অভাব নেই। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মুক্তি ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মাত্রই দুদক তাঁকে পাকড়াও করবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যদি ভুল করে তাকে আবার মনোনয়ন দেন তাহলে আ’লীগসহ সাধারণ ভোটাররা নিশ্চিতভাবে তাকে প্রত্যাখ্যান করবেন।’ কেন্দ্রিয় যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী সরোয়া হোসেন বলেন,‘এমপি মুক্তি সাহেবের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকোন সম্পর্ক নেই। এমপির স্বেচ্ছাচারিতা, দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন,বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী ও মাদক ব্যবসায়ীদর পুনর্বাসন করায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। যে কারণে তৃণমূলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন যদি মুক্তিকে আবারও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, তবে এ আসনে নৌকার ভরাডুবির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।’তবে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকমী,মো.শাহীদুল ইসলাম শাহী নড়াইল প্রতিনিধি ও নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান,‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন জনগণ আমার সাথে আছে। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গাউসুল আযম মাছুমের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোল্যা ইমদাদুল হক, শেখ সৈয়দ,ওতিদুজ্জামান হীরা,শরীফ নাসির মাহমুদ প্রমুখ।
খবর ৭১/ইঃ