নড়াইলে চাঞ্চল্যকর শিশু আমেনা ধর্ষণের পর হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

0
372

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:নড়াইলের কার্তিকপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর শিশু আমেনা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামী আরিফুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে (২২) দীর্ঘ ৭ বছর পর গ্রেফতার করেছে নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হৃদয় নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে কামরুলের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মারুফ হুসাইনের আদালতে আসামীকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দাবি করে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন। জানা যায়, ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের এখলাছ মুছল্লির ৬ বছরের শিশু কন্যা আমেনা খাতুন ডিম খাওয়ার আবদার করে। এ সময় শিশুটির মা হালিমা বেগম তাকে বাড়িতে রেখে আধা কিলোমিটার দূরে ডিম কিনতে গেলে অবুঝ শিশু তার মায়ের খোঁজে বাড়ির বাইরে চলে যায়। এরপর ডিম কেনার পর মা বাড়িতে ফিরে শিশু আমেনাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি এবং মাইকিং করে সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার চারদিন পর ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে এগারটার সময় নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামের শহীদ ফকিরের বসত বাড়ির পশ্চিম পাশে পানের বরজের পশ্চিমে পাশের বাঁশ ঝাড়ের পূর্বে মাটি চাপা অবস্থায় একটি কুকুর লাশের নিকট আনাগোনা ও লাশের পা কামড়ানোর কারণে গন্ধ বের হয়। এ সময় পানের বরজের মালিক একই গ্রামের শহীদ ফকির ও তার স্ত্রী লতিফা বেগম লাশের নিকট গিয়ে চিহ্ন দেখে চিৎকার দেয়। এরপর পুশিলে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারকালে শিশুটির মুখ ও গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। বুকে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ওই বছর ২৪ নভেম্বর নড়াইলের কালিয়া থানায় শিশুটির মা হালিমা বেগম শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশ জোরপূর্বক শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগে আসামী মির্জাপুর গ্রামের মুকুল চক্রবর্তীর ছেলে অপূর্ব চক্রবর্তী (৩০) ও একই গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে কামরুলের ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে হৃদয়ের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দুইটা দিকে নিজ বাড়ি থেকে পলাতক আসামী আরিফুল ইসলাম হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর আসামী অপূর্ব চক্রবর্তী ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার আসামী হৃদয়কে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী হৃদয় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও তাকে ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে অপ্রাপ্ত সাজানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে বাদী হালিমা বেগম অভিযোগ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here