উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কর্মকর্তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএমসহ নড়াইল এ·প্রেসখ্যাত জাতীয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার সহধর্মিনী সুমনা হক সুমি। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম এএসআই মোঃ মনিরুল ইসলাম। তিনি নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর তিনি বিকাল ৩টায় মাশরাফির নির্বাচনী প্রচারণার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে তার স্ত্রী রাবেয়া মনির সন্তানসম্ভবা থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আধুনিক সদর হাসপাতাল, নড়াইলে ভর্তি করা হলে সংবাদ পেয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম, নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিম সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীনসহ নড়াইল এ·প্রেসখ্যাত জাতীয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার সহধর্মিনী সুমনা হক সুমি ও নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনি· মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সকাল ১০টায় হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা, পুলিশ সুপার ৭০ হাজার টাকা ও মাশরাফির স্ত্রী নগদ ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। এ সময় নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা তাঁর বক্তব্যে বলেন, মৃত্যুবরণকারী দায়িত্ববান পুলিশ অফিসারের পরিবারের পাশে নড়াইল জেলা প্রশাসন সর্বদা থাকবে। তাদের সার্বিক সহযোগিতা বিধানের লক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসন আজ থেকে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুলিশ তাদের জীবন দিয়ে জনগণের নিরাপত্তা বিধান করে থাকে তার নজির স্থাপন করলেন মৃত্যুবরণকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা। তার পরিবারকে নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে আরও আর্থিক অনুদান আনার জন্যও তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানান। শেষ খবর অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১২টায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই মনিরুল ইসলামের স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
খবর৭১/ইঃ