নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ বাংলার ক্রীড়া সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে!

0
227

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: শিশুরা তাদের বাবা, দাদা, মা, নানিদের কাছ থেকে শুধু গল্প শুনে মাত্র। গ্রামীণ এসব খেলাধুলা তাদের কাছে হারানো ঐতিহ্য। ছোট বেলায় খেলাধুলা যেমন শারীরিক সুফল দেয়, তেমনি মানসিক সুফলও আসে। সুস্থ দেহের সঙ্গে সুস্থ মানসিক বিকাশ ও গড়ে উঠে। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, গোল্লাছুট, বৌছি, কানামাছি, সাতচারা, হাডুডু, নৌকা বাইচ, কুতকুত, দাড়িবান্ধা এসব খেলার নাম শুনেনি এমন মানুষ কমই আছে। নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা। এসব খেলাগুলো এখন শুধু মাএ গল্প হয়ে গেছে। এছাড়াও বাংলার আনাচে-কানাচে রয়েছে অসংখ্য খেলা। এসব খেলা এখন বিলুপ্তির পথে। গ্রামা লে ঘুরেও চোখে পড়ে না জনপ্রিয় খেলাগুলো। যেন জাদুঘরেই চলে গেছে বাংলার এই ক্রীড়া সংস্কৃতি। কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য মাঝে মাঝে নড়াইলের সুলতান উৎসবে আয়োজন করে বাংলার এই গ্রামীণ খেলা। তবে স্থায়ী কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার কারণে সেই আয়োজনও কমে যাচ্ছে। গ্রামীণ খেলাধুলার আলাদা কোন ফেডারেশন না থাকার কারণে একত্রিত হতে পারছেনা তারা। এসব খেলা বাঁচাতে আলাদা ফেডারেশনের বিকল্প কিছু নাই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ফাকা জায়গা সংকুচিত হওয়া। স্মার্ট ফোনে ভিডিও গেমস খেলার কারণে এসব খেলা বিলুপ্তির পথে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া প্রেমীরা। গ্রামীণ খেলাধুলা সম্পর্কে ধারণা আছে এমন শিশুর সংখ্য কম। শিশুরা তাদের বাবা, দাদা, মা, নানিদের কাছ থেকে শুধু গল্প শুনে মাত্র। গ্রামীণ এসব খেলাধুলা তাদের কাছে হারানো ঐতিহ্য। ছোট বেলায় খেলাধুলা যেমন শারীরিক সুফল দেয়, তেমনি মানসিক সুফলও আসে। সুস্থ দেহের সঙ্গে সুস্থ মানসিক বিকাশ ও গড়ে উঠে। এক সাক্ষাতকারে, নড়াইলের বাগডাঙ্গা গ্রামের আকতার মোল্যা ও বুলু দাস, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, যাঁতার ব্যবহার কমে আসছে আধুনিক প্রযুক্তি প্রতিটি অবিভাবকেরই দ্বায়িত্ব শিশুদের লেখা পড়ার পাশাপাশি প্রতিটি শিশুকে খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখা। খেলাধুলার চর্চার মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ মন বিকাশ গড়ে উঠে এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here