নড়াইলে এখন আর রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ চোখে পড়েনা!

0
1083

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: এক সময় নড়াইলের গ্রাম বাংলার ফুল প্রেমী মানুষের কাছে কাঞ্চন ফুলের নামটি পরিচিত এক নাম আইল্যান্ড,বন-জঙ্গল ও এলাকায় এ রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ এখন আর চোখে পড়েনা। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, আর প্রিয় এ কাঞ্চন ফুলেরও কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে তা হয়তো সকলের জানা নাও থাকতে পারে। আর যারা জানেন তারা কাঞ্চনের মাঝে রক্তকাঞ্চন ফুলকেই বেশি পছন্দ করেন। এর মূল রহস্য ফুলটির রং শোভা ও সৌন্দর্যকে ভালোবেসে। তাইতো কাঞ্চনের মাঝে রক্তকাঞ্চনই সেরা। কাঞ্চনের জন্মস্থান ভারত,বাংলাদেশ। এর পরিবার,উদ্ভিদতাত্বিক নাম। রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ ছোট আকার আকৃতির বৃক্ষ। গাছের কা-খাট। কা-ও শাখা-প্রশাখা বেশ শক্ত মানের এবং শাখা-প্রশাখা ছড়ানো। তবে মাঝে মধ্যে বড় আকৃতির গাছও চোখে পড়ে। পত্র ঝরা বৃক্ষ। শীতে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যায়। আর ফুল ফোটার সময়টাতে গাছ থাকে পত্রশুন্য এবং এ সময়ে রক্তিম ফুলে ফুলে ভরে যায় গাছ। ফুল ফুটন্ত গাছ অত্যন্ত নজর কাড়া। ফুল মূলত ঘন মেজেন্টা রঙের। ফুলে নমনীয় কোমল পাঁচটি পাপড়ি থাকে,এর মাঝে একটি পাপড়ি রঙে ব্যতিক্রম,গোড়ার দিকে গাঢ় বেগুনি রঙের কারুকার্য। ফুলের মাঝে কাস্তের মতো বাঁকা পরাগ অবস্থিত। বিস্তৃত শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে এক বা একাধিক ফুল ফোটতে দেখা যায়। এর ফুল শীতের শেষ দিকে ফোটা শুরু হয়ে গ্রীষ্মকাল অবধি সময় ধরে ফোটতে থাকে। তবে মৌসুমের শুরুতে গাছে অধিক পরিমাণে ফুল ফোটে। বসন্তের মাঝামাঝি গাছে নতুন পাতা গজায়। পাতা সবুজ,শিরা উপশিরা স্পষ্ট। এর পাতার অন্যরকম বৈশিষ্ট একই বোঁটার পাতা মাঝে দু’ভাগে বিভক্ত থাকে। আবার দুটি পাতা জোড়া দিলে একটি অন্যটির সাথে সমানে সমান। ফুল শেষে গাছে ফল হয়,ফলে বীজ হয়। ফল দেখতে শিমের মতো চ্যাপ্টা,রঙ প্রথমে সবুজ ও পরিপক্কতা এলে কালচে রঙ ধারণ করে এবং শুকিয়ে গিয়ে একসময়ে আপনা আপনিই ফেটে গিয়ে বীজ গুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিপক্ক বীজের রঙ কালচে খয়েরি। গাছ বেশ কষ্ট সহিষ্ণু। বীজ ও ডাল কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা যায়। রক্তকাঞ্চনের রয়েছে ভেষজ নানান রকম গুণাগুণ। উঁচু ভূমি,রৌদ্র উজ্জল পরিবেশ থেকে হাল্কাছায়া যুক্ত স্থান ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফুল গাছ জন্মে। আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বলেন, আমাদের নড়াইলে এক সময় গ্রাম বাংলার কোন কোন বসত বাড়ীতে বা বাগানে,বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের আইল্যান্ড,বন-জঙ্গল ও এলাকায় এ রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ চোখে পড়তো। এখন আর রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ চোখে পড়েনা।

নড়াইলে দুঃস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে কম্বল বিতরণ!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: আজ রবিবার (৬,জানুয়ারী)-২৭৪: নড়াইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে নড়াইলের শিমুলিয়া মাঠে দুঃস্থ ও অসহায় শীতার্ত ব্যক্তিদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) উপস্থিত হয়ে কম্বল বিতরণ করেন। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বিডি খবর’র প্রকাসক ও সম্পাদক লিটন,দত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বুলু দাস ও সকল সদস্যবৃন্দ। ছবি সংযুক্ত

নড়াইলের দি পাটনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: আজ রবিবার (৬,জানুয়ারী)-২৭৪: নড়াইলের নড়াগাতী দি পাটনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্যাডমিন্টন খেলায় অংশগ্রহণ করে খেলোয়াড়দের উৎসাহ প্রদান করেন বিতরণ বতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) উপস্থিত হয়ে পুরস্কার বিতরণ করেন। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বিডি খবর’র প্রকাসক ও সম্পাদক লিটন,দত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বুলু দাস ও সকল সদস্যবৃন্দ। ছবি সংযুক্ত

কীটনাশক মুক্ত সবজি চাষ করে দৃষ্ট কেরেছেন নড়াইলবাসীর: এসপি জসিম উদ্দিন পিপিএম!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: আজ রবিবার (৬,জানুয়ারী) -২৭৪: শুধু দুষ্টুকে দমন করেই খ্যান্ত হননি সৃষ্টের লালনও করে, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম)। পাশাপাশি তিনি সাধারণ জনগণকে দেখিয়েছেন কেমন করে জীবনে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। তিনি গ্রামের সাধারণ জনগণের জন্য এক উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তিনি দেখিয়েছেন বাসভবনের আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা ডোবা পরিষ্কার করে কিভাবে মাছ চাষ করতে হয়। কিভাবে শাক-সবজির চাষ করতে হয়। তিনি তাঁর বাসভবনের সামনে পতিত ডোবা পরিষ্কার করে সেখানে মাছের চাষ করেছেন। ডোবার চারপাশে চাষ করেছেন বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির। তিনি সমাজের অবহেলিত জনগণকে শেখাতে চেয়েছেন কিভাবে সাংসারিক প্রয়োজনী দ্রব্যাদি সহজেই চাষ করা যায়। পুকুর পাড়ে পেঁপের চারা রোপন করে সেখান থেকে লাভবান হওয়া যায়। পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনের এই ডোবাটি দেখলেই বোঝা যায় মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) কেমন করে সকলের দৃষ্ট আকর্ষন করছেন। এ কাজে শুধু তিনিই নন তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন তাঁর সহধর্মীনি নাহিদা চৌধুরী সুমি এবং নড়াইল জেলা পুলিশ। কীটনাশকমুক্ত শাক-সবজি তিনি পুলিশ বাহিনীর জন্য বরাদ্দ করছেন। নড়াইল পুলিশ লাইন বেরাকে বিতরণ করা হচ্ছে এসকল শাক-সবজি। পুলিশ সুপারের পাশাপাশি এ ধরনের পতিত ডোবা বা জলাশয়ে বিভিন্ন প্রকার মাছ ও শাক-সবজির চাষ করছেন নড়াইল জেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারাও। শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝেই এ কর্মকান্ড বিরাজ করছে না। নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ জনগণও এ ধরনের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। অনেকে শুরু করে দিয়েছে পতিত জলাশয়ে মাছের চাষ। বাড়ির আনাচে কানাচে পতিত জমিতে চাষ করছে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির। যেসব শাক-সবজি কীটনাশকমুক্ত। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম), এর কাছে জানতে চাইলে তিনি, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধিকে জানান, আমি চাই আমার দায়িত্বরত এলাকার সকল জনগণ যাতে নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করতে পারে তার জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি সাধারণ জনগণকে দেখাতে চেয়েছি কিভাবে জীবনে কষ্টের মধ্যে একটু সুখের আভাস পাওয়া যায়। কিভাবে পড়ে থাকা ডোবা-জলাশয়ে মাছের চাষ করে আমিষের অভাব পূরণ করা যায়। শুধু মাছ খেয়েই জীবন বাঁচে না, পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির চাষ করেও মেটানো যায় নিজের পরিবারের সবজির চাহিদা। আমি আমার বাসভবনের সামনে পড়ে থাকা ডোবাটি পরিষ্কার করে সেখানে মাছের চাষ ও ডোবার পাড়ে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির চাষ করেছি। সেখানো রোপন করেছি নানা ধরনের শাক সবজি, যাতে করে আমার পুলিশ বাহিনীর শাক-সবজির চাহিদা মেটানো যায়। আমরা কীটনাশকযুক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এই কীটনাশক ছাড়া শাক-সবজির চাষের জন্য বাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা জমিই উত্তম। পতিত জমিতে শাক-সবজি কোন প্রকার কীটনাশক ছাড়াই চাষ করা যায়। আমি চাই আমার মত দেশের সকল জনগণ এভাবে পতিত ডোবা, জলাশয়ে মাছের এবং পতিত জমিতে শাক-সবজির চাষ করুক যাতে আমাদের আর কীটনাশকযুক্ত খাবার না খেতে হয়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ ছবি সংযুক্ত

নড়াইলের গ্রামঞ্চলের এক সময়ের সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের বাড়ির ঐতিহ্য সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা এখন বিলুপ্তি!
উজ্জ্বল রায় নড়াইলের গ্রামঞ্চল থেকে ফিরে■: নড়াইলের পার্শ্ববর্তি গ্রামঞ্চলের এক সময়ের সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা এখন বিলুপ্তের পথে। এক সময় সমাজের বসবাসরত মানুষের নেতৃত্ব নির্ভর করতো কার বাড়িতে কতটি ধানের গোলা আছে এর হিসাব কষে। বিশেষ করে কন্যার বিয়ের সময় বর পক্ষের বাড়িতে ধানের গোলার খবর নিতো কনে পক্ষের পিতা। যাহা এখন শুধুই কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, এক সময় নড়াইলের গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে বাঁশ চিরে চটা করে গোল আকৃতির তৈরি করা ধানের গোলা বাড়ির উঠানে উঁচু জায়গায় বসানো হতো। তার ছাউনি থাকতো গোল পাতা এবং টিন দিয়ে। গোলার মাথায় থাকতো টিনের তৈরি পিরামিড আকৃতির টাওয়ার। যা দেখা যেত অনেক দূর থেকে। ইঁদুর এবং বর্ষার পানি তা কোন ভাবেই স্পর্শ করতে পারতো না। মই বেয়ে গোলায় উঠে তাতে সকল প্রকার কৃষকের উৎপাদিত ফসল রাখতে হতো। এছাড়াও অনেকে ডোলা(ছোট গোলা) এবং আউড়ি তৈরি করে ঘরের ভিতর উঁচু মাচা করে তার উপর বসিয়ে তাদের ফসল রাখত। গ্রাম বাংলার সদৃশ্য গোলা, ডোলা এবং আউড়ি ছিল সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য। সে সময় কন্যার পিতা ভাবতো কন্যা পাত্রস্থ করতে যদি বরপক্ষের বাড়িতে ধানের গোলা থাকে তাহলে সে অনেক বড়লোক। তারা সমাজের নেতৃত্ব নির্ভর ব্যক্তি। সেখানে মেয়েকে বিয়ে দিলে সে অনেক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবে। কিন্তু গোলা এখন আর দেখাই যায় না এবং তখনকার ব্যক্তিদের সেই চিন্তা-ভাবনা এখন আর করতে দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার মানুষের চাল-চিত্র উলট-পালট করে দিয়েছে বলে সর্ব মহলের ধারণা। বর্তমানে কন্যা পাত্রস্থ করতে পিতা ভাবে ছেলের চাকুরী কিংবা বড় ধরণের কোন ব্যবসা আছে কিনা। বিশেষ করে চাকুরীজীবি পাত্র হলে আর বলার কোন অপেক্ষা থাকে না। এক বাক্যেই কন্যার পিতা তার সাথে কন্যার বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। কথায় বলে- চাকরী হল বর্তমানে সোনার হরিণ। আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বলেন, আমাদের বাড়িতে দীর্ঘ দিনধরে একটি গোলা আছে। তবে ধান রাখার কাজে তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না। ফসল করতে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে তাতে ধান বিক্রয় করে খরচ বাদ দিয়ে গোলায় উঠানোর মত ধান বাড়িতে থাকে না। কয়েক বছর পূর্বেও এলাকায় প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে একটি করে গোলা থাকতো। বিডি খবর’র প্রকাসক ও সম্পাদক লিটন দত বলেন, নড়াইলে এখন গোলার প্রচলণ প্রায় উঠে গেছে বললেও ভুল হবে না। সব কিছু মিলিয়ে গ্রাম বাংলার কৃষকের এক সময়ের সমৃদ্ধির প্রতীক গোলা, ডোলা এবং আউড়ি এখন শুধুই সকলের কাছে কল্পকাহিনীতে পরিণত হতে চলেছে বলে সকল মহলের ধারণা। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ ছবি সংযুক্ত

নড়াইলের মাশরাফি যে এলাকায় যাচ্ছেন, সেখানকার শিশু-কিশোররাও তার অপেক্ষায় থাকছে!

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: আজ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর)-২৭৪- নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আছেন শিশু-কিশোরদের হৃদয়েও। প্রিয় খেলোয়াড়, প্রিয় ব্যক্তিত্বের প্রতি হৃদয়ের সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশও ঘটছে প্রকাশ্যেই। মাশরাফি যে এলাকায় যাচ্ছেন, সেখানকার শিশু-কিশোররাও তার জন্য অপেক্ষায় থাকছে। এসব শিশুদের কারো হাতে পোস্টার, কারো বুকে ঝোলানো পোস্টার, কেউ মুখরিত করছে ‘মাশরাফি ভাইকে ভোট দিন’ স্লোগানে। এভাবেই চলছে নড়াইল জুড়ে মাশরাফি বন্দনা, তার প্রচার-প্রচারণা। ড়াইল-২ আসনেরলে প্রচারণার দ্বিতীয়দিনে দুপুরে আমাদা আদর্শ কলেজের প্রবেশদ্বারে মাশরাফির জন্য শিশু-কিশোরদের এমন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে। এদিকে পথে-প্রান্তরে মাশরাফির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ভোটার ও ভক্তরা। বাড়ির সামনে নারী ও পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ দাঁড়িয়ে মাশরাফিকে অভিবাদন জানান। মাশরাফি ঝিকড়া, আমাদা, বয়রা, সারোল, কুমড়ি, লুটিয়া, মাইগ্রাম, বড়দিয়া, দিঘলিয়া, কোটাকোল, পাঁচুড়িয়া, ঘাঘা, পারমল্লিকপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এর আগে গত সোমবার শ্বশুরবাড়ি লোহাগড়া উপজেলার দেবী গ্রামসহ মিঠাপুর বাজার, ঝামারঘোপ, মাকড়াইল, লাহুড়িয়া, ছত্রহাজারি, মানিকগঞ্জ বাজার, চাঁচই, সিডি স্কুল মাঠ, কালনা বাজার ও লংকারচরে রাত অবধি গণসংযোগ করেন তিনি। গণসংযোগকালে মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, আপনারা সবাই নৌকায় ভোট দিবেন। সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী নড়াইল গড়ে তোলার চেষ্টা করব। পথসভা এবং গণসংযোগে মাশরাফির সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ পরিবারের সদস্য ও ভক্তরা। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ ছবি সংযুক্ত

নড়াইলে নির্বাচনের শেষ মুহূতে গণসংযোগে প্রার্থীরা, নানা নিয়ে অভিযোগ বিএনপির!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: আজ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর)-২৭৪-শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন নড়াইলের দু’টি আসনের প্রার্থীরা। প্রচারণায় শেষ দিকে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন দু’টি আসনের ১২ প্রার্থী। এর মধ্যে নড়াইল-১ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি ও ধানের শীষ প্রতীকে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও এ আসনে ভোটের মাঠে আছেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মোল্যা, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন ও এনপিপি’র (ছালু) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনসুরুল হক।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তি বলেন, দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সমর্থনে এবারের নির্বাচনেও বিজয়ী হবো ইনশা আল্লাহ। বিগত দিনে জনগণের ভালোবাসায় এ আসনে দুইবার এমপি ও দুইবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র হয়েছি। এবার বিজয়ের হ্যাটট্রিক করতে চাই। এবারের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে আমি আশাবাদী।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তির এ বক্তব্য প্রত্যাখান করে বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতিকে জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো ইনশা আল্লাহ। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকেরা আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে অনেককে এলাকা ছাড়া করেছে। নির্বাচনে কোনো সমতল ভূমি নেই।
জাপা প্রার্থী মিল্টন মোল্যা বলেন, জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তরুণ প্রার্থী হিসেবে ভোটাররা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। বিজয়ী হলে গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।
এনপিপি’র (ছালু) প্রার্থী মুনসুরুল হক, জানান, প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। নতুন মুখের প্রার্থীর বিজয় প্রত্যাশা করছেন ভোটাররা।
এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকা থেকে নড়াইলে এসে ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করে যাচ্ছেন নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিভিন্ন পথসভায় তিনি বলেছেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন। আমি সুন্দর একটি নড়াইল উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করাটাই আমার মূল লক্ষ্য। আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের মাঝেই বড় হয়েছি। এজন্য আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন-২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, দআমাদের মাইকিং করতে দেয়া হচ্ছে না। পোস্টার টানাতে পারছি না। গণসংযোগে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমি বিজয়ী হবো।’
এছাড়া নড়াইল-২ আসনে এনপিপির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন, ইসলামী ঐক্যজোটের র্প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির শওকত আলী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এনপিপির (ছালু) প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, শেষ মুহূর্তে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা অবহেলিত নড়াইলের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেয়ার কথা বলছেন। এদিকে মাশরাফির প্রতি সমর্থন জানিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে নড়াইল-২ আসনে জাপার (এরশাদ) প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে ভোটার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ১১৩ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৮ জন। কালিয়া পৌরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কলোড়া, বিছালী, সিঙ্গাশোলপুর, সেখহাটি ও ভদ্রবিলা ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-১ আসন গঠিত। বিগত নির্বাচনে এ আসনে পাঁচবার আ’লীগ, দু’বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) বিজয়ী হন।
এদিকে নড়াইল-২ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫১১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৬২৪ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮৭ জন। নড়াইল ও লোহাগড়া পৌরসভাসহ এ আসনের অধীনে সদর উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন এবং লোহাগড়ার ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। বিগত নির্বাচনে এ আসনে পাঁচবার আ’লীগ ও একবার মহাজোটের প্রার্থী এবং দুইবার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন ভোটারসহ নড়াইল-১ ও ২ আসনের সাধারণ মানুষ। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ ছবি সংযুক্ত

নড়াইলে নির্বাচনী অফিসের সামনে ককটেল সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণে আহত ১
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইলের ইতনায় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে ককটেল সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণে পাপ্পু কাজী(৩৪) নামে এক যুবক আহত হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহত পাপ্পুসহ তার সহযোগিরা জানায়, নড়াইলের ইতনা ইউনিয়নের ধোপাবাড়ি মোড়ের আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসের সামনে পাপ্পুসহ ১৫/২০ জনে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী আলাপ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে ককটেল সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণ হয়। ঘটাস্থলেও একটি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। আহত পাপ্পু জানান, হঠাৎ ককটেল সদৃশ্য বস্তু আমাদের পাশে এসে উপর থেকে পড়ে বিস্ফোরিত হলে আমি আহত হই। পরে সহযোগিরা আহত অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার লায়লা সুলতানা জানান, রোগীর অবস্থা ভাল। তেমন সমস্যা নেই। নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস, বিষয়টি নিশ্চিত কওে, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতিকে জানান, রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃস্য বস্তু (স্প্রাইটের বোতলে পেট্রলযুক্ত) উদ্ধার করেছি। এটি ককটেল হামলা নয়। শুনেছি একটি ফুটেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■

নির্বাচন উপলক্ষে নড়াইল সদর থানার অফিসার ও ফোর্সদের আইন শৃংঙ্খলা সংক্রান্ত নির্দেশনা

বুলু দাস আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নড়াইল সদর থানার সকল অফিসার ও ফোর্সদের আইন শৃংঙ্খলা সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রদান করেন নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম)। এই সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ শরফুদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), নড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত ইলয়াস হোসেন (পিপিএম),কর্মকর্তাবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বিডি খবর’র প্রকাসক ও সম্পাদক লিটন,দত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বুলু দাস, ও সকল সদস্যবৃন্দ। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ছবি সংযুক্ত

নড়াইলে পুলিশ সুপার’র পক্ষ থেকে খেতাব প্রাপ্ত ৬০ জন পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইলে ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে রণকৌশল প্রদান করে যাঁরা দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে তাঁদেরকে সম্মাননা প্রদান করতে নড়াইল পুলিশ কখনোই পিছপা হয় না। এবারও মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদযাপনের পর জেলার পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে ৬০ জন পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তাঁদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। বেলা ১২টার দিকে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পিপিএম)’র সভাপতিত্বে এ সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বিডি খবর’র প্রকাসক ও সম্পাদক লিটন,দত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বুলু দাস, সকল সদস্যবৃন্দ। নড়াইল পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পিপিএম),বলেন, পুলিশ দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষে ৭১’এর রণাঙ্গণেও কাজ করেছিল। যার স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা লাল-সবুজের পতাকা পাক-বাহিনীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) নড়াইলে অবস্থানরত ৬০ জন পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ হাতে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পিপিএম), নিজেই। তিনি তাঁর বক্তব্যে নড়াইলবাসীকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ৬০ জন পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ ছবি সংযুক্ত

নড়াইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সালামাবাদ ইউনিযনের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইলে কালিয়া উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও সালামাবাদ ইউনিযনের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আনোয়ার হোসেন (৬০) কে গ্রেফতার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। ভোরে তার নিজ গ্রাম জয়পুরস্থ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কালিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আনোয়ার হোসেন গ্রেফতারের বিষয় স্বীকার করে বলেন, আনোয়ার হোসেন নড়াগাতি একটি মামলার এজাহার নামীয় আসামী, তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় ৭৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত দু’দিনে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নড়াইল-১ আসনে নড়াগাতি থানার খাশিয়াল বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী ও সমর্থকদের সংর্ঘষে কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমানসহ ৫জন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ ডিসেম্বর ৭৩ নাম উল্লেখ করে উপজেলার চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমার নড়াগাতি থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। উক্ত মামলার এজাহার নামীয় আসামী সরদার আনোয়ার হোসেন। নড়াইল ১ আসনের বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলমের কালিয়া শহরের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি সমর্থকদের ৬-৭টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল বাজারে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা খান শামীমুর রহমান ওসিকে মারপিট করার অভিযোগে আ’লীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে স্থানীয়রা জানান, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধায় খাশিয়াল বাজারে বিএনপি কর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলীগ নেতা খান শামীমুর রহমান ওসিকে বিএনপি কর্মীরা মারপিট করে। এ ঘটনায় তিনিসহ আরও ২জন আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আলীগ নেতাকর্মীরা নড়াইল ১ আসনের বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলমের কালিয়া শহরের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে নড়াইল থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ধানের শীষের প্রায় ২ লক্ষ পোষ্টার পুড়ে যায়। এদিকে একই ঘটনায় উপজেলার খাশিয়াল বাজারে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করা হয়েছে এবং কার্যালয়ের পাশের কয়েকটি দোকানে ভাংচুর করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় উপজেলার জয়পুর মোড়ে বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গির কাজী ও চুন্নু কাজীর মুদি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলমের বাড়িতে অবস্থানরত বিএনপি নেতা মো: ইকরামুল হক জুলু জানান, আলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলমের বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে টিভি, ফ্রিজ, সোফা, গাসের চুলা, মটরসহ বিভিন্ন আসবার পত্র নিয়ে যায়। এ সময় ঘরের জানালা দরজাসহ অন্যন্য আসবারপত্র ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় ধানের শীষের প্রায় ২ লক্ষ পোষ্টার পুড়ে যায়। এদিকে উজেলার জয়পুর মোড়ের মিজানুর কাজীর স্ত্রী আকাশি বেগম বলেন, বিএনপি করার অপরাধে তার দেবর জাহাঙ্গির কাজী ও চুন্নু কাজীর ২টি দোকান ভাংচুর করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে আলীগের লোকজন। খাশিয়াল বাজার এলাকার তামিম জানান, ওসি খার (আলীগের) লোকজন তাদের নির্বাচনী কার্যলয়ের চিয়ার টেবিল ভাংচুর করেছে এসময় কার্যলয়ের পাশের কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করা হয়। এদিকে কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা খান শামিমুর রহমান ওসিকে মারপিট করার প্রতিবাদে বড়দিয়া বাজারে দোকান পাঠ বন্ধ রেখে বিচারের দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে আলীগের লোকজন। মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা খান শামিমুর রহমান ওসি বলেন তাকে হত্যা করার উদ্দেস্যে তার উপর এ হামলা করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সাথে তার বা তার দলের (আলীগ) লোকজন জড়িত নয় বলে জানান তিনি। বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলম জানান, তার নিজ বাড়িসহ নেতাকর্মীদের দোকানপাট ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাংঙচুর করা হয়েছে। তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নির্বাচন থেকে তাকে সরিয়ে রাখতেই এ সব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি। নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিত স্বাভাবিক আছে। কোন পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নিব। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নিব। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ ছবি সংযুক্ত

নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষ প্রার্থীর পাশে নেই বিএনপি সংগঠনের নেতা কর্মীরা!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পাশে নেই বিএনপি সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এ আসনের প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মর্তুজা, ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এনপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান, জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, এনপিপির জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান এবং ঋণখেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির শওকত আলী আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় তিনিও এ আসনে বহাল হয়েছেন। তবে এ আসনে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা হবে। নড়াইল বাসীর উন্নয়নের কান্ডারী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পাশে দলবল র্নিবিশেসে সকল স্তরের মানুষ আছে। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এনপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান নিজ এলাকা লোহাগড়ায় যেখানে নির্বাচনী সংযোগ করতে যাচ্ছে সেখানেই প্রতিপক্ষ বিভিন্ন বাধা দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার সাথে জেলা ছাত্রদল ও লোহাগড়া উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও নাই জেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীদের। এ ব্যাপারে এ জেড এম ফরিদুজ্জামান বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি নিজে প্রার্থী থাকায় তিনি আমার এলাকায় সময় দিতে পারছেন না। তবে জেলার সাধারণ সম্পাদক ও সদরের কোন নেতা কর্মীদের পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে আমার গণ সংযোগের সাথে থাকতে পারছে না। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, লোহাগড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের বাধার পরেও ধানের শীষের গন সংযোগ ও লিফলেট পোষ্টার চোখে পড়লেও নড়াইল সদর এলাকায় কোন ধরনের গন সংযোগ ও লিফলেট পোষ্টার নাই। তবে সদরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী জানান, ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে তারা এনপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রতিপক্ষ হিসাবে মানসিক ভাবে মেনে নিতে পারে নাই। তাই তারা নড়াইল সদর এলাকায় কোন ধরনের গন সংযোগ করছে না ও লিফলেট পোষ্টার বিতরন করছে না। নড়াইল সদর উপজেলার পৌরসভা, আটটি উইনিয়ন ও লোহাগড়া উপজেলার পৌরসভা ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল -২ আসন। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:

নড়াইলে মাশরাফির নির্বাচনী খরচের টাকা ফিরিয়ে দিল মুলিয়া ইউনিয়নবাসী!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদিকে একাদশ নির্বাচন সামনে রেখে চলছে প্রচারণা। এদিকে আজ সোমবার ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাশরাফির নির্বাচনী প্রচারের টাকা তারা বাবা গোলাম মোর্তজা শ্বপনের কাছে ফেরত দেন নড়াইল সদরের মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী। এর আগে রবিবার ১৬ ডিসেম্বর বিকালে স্থানীয় মুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সভায় মাশরাফির নির্বাচনে কোনও ব্যয় না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী। তাছাড়া নির্বাচনী অফিস পরিচালনা ব্যয়, পোস্টার লাগানো, বাড়ি বাড়ি প্রচার এমনকি এজেন্ট নিয়োগ থেকে শুরু করে সব ব্যয় বহন করবেন মুলিয়া ইউনিয়নবাসী। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘মাশরাফি একজন সৎ দেশপ্রেমিক ছেলে। তার জন্য ভোট চাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে অর্থের লেনদেন করে আমরা কলুষিত হতে চাই না।’ এ সময় মাশরাফির বাবা গোলাম মোর্তজা শ্বপন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক একটা খরচ এখানে দিয়েছি। কিন্তু মুলিয়া ইউনিয়নের লোকেরা তা ফেরত দিয়ে দিয়েছে। তারা নিজেরাই এলাকার সব নির্বাচনী ব্যয় বহন করতে চায়। বাবা হিসেবে ছেলের জন্য আমার গর্ব শুধু বাড়ছে। নির্বাচনী মাঠে না আসলে বুঝতে পারতাম না মানুষ মাশরাফিকে কতটা ভালোবাসে।’ এদিকে নড়াইল-২ আসনের রূপগঞ্জের বাধাঘাট এলাকার ভোটার মৌসুমী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অনেক বছর ভোট দিতে যাই না, তবে এবার ভোট দিতে যাব, শুধু মাশরাফির জন্য। আফসোস এখন পর্যন্ত নিজের চোখে মাশরাফিকে ভোটের মাঠে দেখলাম না। তবে দেখা পাই, আর না পাই, তাকেই ভোট দেব।’ এরপর কামাল প্রতাপ গ্রামের মাস্টার এসএম ফকরুল আলম বিপুল বলেন, ‘আমি বিএনপির সমর্থক, তারপরও এবার মাশরাফির জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেব।’ তাছাড়া চাচড়া গ্রামের মিম বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার। আমার প্রথম ভোটটি মাশরাফি ভাইকে ভোট দিতে পারব বলে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাকে টিভিতে দেখেছি, যদি সামনাসামনি দেখতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো।’ এ সময় নাগরিক সমাজের সুধীজন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাশরাফি একটা ভালো ছেলে। তাকে আমরা ভোট দেব। ১৪ তারিখে তার খেলা শেষ হয়েছে, এখন তার নড়াইলে এসে ভোট চাওয়া উচিত।’ এদিকে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘মাশরাফি সম্ভবত ২০ তারিখে নড়াইলে আসতে পারেন। তবে বড় কোনো রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য দেবেন না তিনি।’ উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ ছবি সংযুক্ত
নড়াইল শহর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার কর্মসূচিতে কিশোরদের সঙ্গে মাশরাফির মা!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এই কাজের সূচনা করেন মাশরাফির মা হামিদা মোর্ত্তজা। নড়াইল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে তিনি কিশোরদের সঙ্গে নড়াইলসহ দেশ পরিষ্কার কর্মসূচিতে যোগ দেন। এ সময় মাশরাফির মামা নাহিদ হোসেন, মাশরাফির ছোটভাই মুরসালিন বিন মোর্তুজা সিজার, নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী জহির, গৃহিনী লায়লা সুমন, ছাত্রনেতা চঞ্চল শাহরিয়ার, স্কাউট লিডার ইমন, রাতুল, শোভন, প্রিয়তীসহ শতাধিক কিশোর-তরুন-যুবক অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধার্থে নড়াইল শহর পরিষ্কার রাখার প্রত্যয় নিয়ে শহর পরিস্কারের কাজ শুরু করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ভক্তরা। মহান বিজয় দিবসের শুরুতে রাতে নড়াইল শহরে পরিচ্ছন্ন কর্মীর দায়িত্ব নিলেন একঝাঁক তরুন। বিজয় দিবসের শুরুতে রাত ১২টা ১ মিনিটে রূপগঞ্জ এলাকায় গিয়ে শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শেষ হয়। নড়াইল ভলেন্টিয়ার এর টিমলিডার সাকিব বলেন, এলাকার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কত কষ্ট করে আমাদের শহর পরিষ্কার রাখে বিজয় দিবসে আমরা সেটা উপলব্ধি করতে চাই, আর এসব স্বপ্ন আমাদের দেখাচ্ছেন আমাদের ক্যাপ্টেন মাশরাফী। নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের জুনিয়র টিমের সদস্য রাসেল বিল্লাহ বলেন, মাশরাফি ভাই সব সময় বলেন, মাশরাফী ভাইয়ের স্বপ্ন- “নড়াইল হবে প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ বাসস্থান” সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা এলাকার তরুণের এক হয়ে মাশরাফীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। ছেলেদের সঙ্গে এক হয়ে মা হামিদা মোর্ত্তজা বলেন, আমার ছেলেদের সকল ভালো কাজের সঙ্গে আমি আছি, আমরা সকলে মিলে এই দেশটাকে গড়ব, ছোটদের এই সব দেশ গড়ার কাজকে আমরা বড়রা এগিয়ে নিতে চাই- দেশটাকে পরিষ্কার করছি এটাই বিজয় দিবসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। তিনি মাশরাফীর জন্য সকলের কাছে দোয়া চাইলেন। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ ছবি সংযুক্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here