নড়াইলে এক সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা;শ্বশুর,শাশুড়ি ও দেবর পলাতক

0
227

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ রবিবার (১৭,মার্চ) নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের চামরুল গ্রামে জলি বেগম (২২) নামে এক সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর পলাতক রয়েছে। স্বামী পলাশ বিশ্বাস মালয়েশিয়ায় থাকেন।
নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের চামরুল গ্রামের বক্কার বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাসের সাথে একই উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ কালাম বিশ্বাসের মেয়ে জলি বেগমের বিয়ে হয় ৪ বছর আগে। দাম্পত্য জীবনে তাদের লাবিব নামে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে তাদের।
জলির মামা সুমন গাজী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নি জলির স্বামী পলাশ বিশ্বাস মালয়েশিয়ায় থাকে। শ্বশুরবাড়িতে জলিকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর মাঝে মধ্যে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলতেন। জলির বাবা গ্রাম পুলিশ হওয়ায় অর্থনেতিক সমস্যা রয়েছে। যার কারণে জলিকে মাঝে মধ্যে যৌতুকের চাহিদা পূরণে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকদিন আগে জলি বাবার বাড়িতে চলে আসে।
এক পর্যায়ে আর নির্যাতন করবে না বলে মৌখিক অঙ্গীকার করে শুক্রবার বিকেলে জলিকে তার দেবর এসে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে জলি তার মায়ের সাথে মোবাইলে কথা বলেছে। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের সময় পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, জলি খুব       অসুুস্থ। আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। জলির দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা এ        হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম), নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে জলির শ্বশুর বক্কার বিশ্বাস, শাশুড়ী জাহেদা বেগম ও দেবর জুয়েল বিশ্বাসকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here