নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের ১০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

0
402

হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল প্রতিনিধিঃ  নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ (৪৮) হত্যা মামলার আসামি পক্ষের ১০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউপির কুমড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন- কুমড়ি গ্রামের খায়ের রফিকুল ইসলাম, আহাদ, , আরব আলী, আজিবর, জামাল শেখ, আশরাফ আলী, ইলিয়াস আলী, মশিয়ার গাজী, আইয়ুব শেখ ও রোবহান শেখ। প্রতিপক্ষের লোকজন এসব বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত তিনটি ইজিবাইক,টিভি, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, ধান-চালসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ হত্যাকান্ডের পর থেকে আসামিপক্ষের বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে লুটপাট করা হচ্ছে। এমনকি চিংড়ি ও সাদামাছের ঘের থেকে জোর করে মাছ  ধরে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এর আগেও ওসি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে খুন হন দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশ। দূর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা  করে । পলাশ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত পলাশের বড় ভাই সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান মনি সহ ১৫ জনের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে  মনিরুজ্জামান মনি ও তার ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

 

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here