নড়াইলের সদর উপজেলায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সিমিটের তথ্য বিনিময় সভা

0
376

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের সদর উপজেলায় ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে সিসা-এমআই প্রকল্প, আন্তর্জাতিক ভূট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট), যশোর হাবের আয়োজনে দিনব্যপি তথ্য বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
গতকাল নড়াইল জেলার সদর ঊপজেলা কৃষি অফিস, ডিএই এর সম্মেলন কক্ষে ১৪ টি ইউনিয়নের মোট ৪০ টি ব্লকের উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে কম খরচে ও কম সময়ে কৃষির প্রতিটি ক্ষেত্রে লাভজনকভাবে টেকসই ও সময়োপযোগী আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ানো এবং লোকাল সার্ভিস প্রভাইডার (এলএসপি) ও কৃষক পর্যায়ে এই সকল যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করার উপর এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঊক্ত তথ্য বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঊপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সদর ঊপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রকৌশলী এ এম হেলালুর রহমান, আন্তর্জাতিক ভূট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) যশোর হাবের মেশিনারী ডেভেলপমেন্ট অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার সুবল চন্দ্র মন্ডল ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জিএম মনিরুল ইসলাম, মো. সাখাওয়াতসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।
উক্ত তথ্য বিনিময় সভায় আগত উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন বলেন, তাদের কর্ম এলাকার কৃষক ও কৃষিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা স্থানীয় যুবকগণ যন্ত্রের মধ্যমে কৃষি কাজে উৎসাহী হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, এ অঞ্চলের    কৃষক ও তাদের কারিগরী জ্ঞান বাড়ানোর জন্য প্রদর্শণী স্থাপন ও প্রশিক্ষণ সহযোগীতা জোরদার করার কথা বলেন।
এসময় প্রধান অতিথি কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলনে, আগামী দিনে কৃষিক্ষেত্রে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সিমিটের পাওয়ার টিলার চালিত সিডার (একসাথে চাষ ও বীজ বপন যন্ত্র), ধান ও গম কাটার যন্ত্র (রিপার), সেচ যন্ত্র এক্সিয়েল ফ্লো পাম্প (জাম্বো পাম্প) এ অঞ্চলের যান্ত্রিক কৃষিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং অত্র উপজেলায় এসকল মেশিনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যৌথ সহযোগীতার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রদর্শণীগুলো বাস্তবায়নসহ কৃষকের মাঝে ব্যপকভাবে যন্ত্রপাতিসমূহ কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। তিনি সিসা-এমআই প্রকল্পের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অত্র প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার সুবল চন্দ্র মন্ডল বলেন, শিল্পায়ন ও সময়ের সাথে সাথে কৃষি শ্রমিকদের অন্যত্র চলে যাওয়া এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের দরিদ্র ও কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠির আয়বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সিমিট প্রদত্ত সময়োপযোগী স্বল্প মূল্যের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সিমিট বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচিতি ও ব্যবহার, ফসল    সংরক্ষণ এর জন্য কৃষক, লোকাল সার্ভিস প্রভাইডার (এলএসপি), মেকানিক ও উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন বলে জানান।
এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী এ এম হেলালুর রহমান বলেন, কৃষিক্ষেত্রে টেকসই ও সঠিকভাবে যান্ত্রিকীকরণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, সে সুযোগ আমাদের ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য সকল পর্যায়ে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন বলে জানান।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here