নড়াইলের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত বলে থানার চার পুলিশ পিটিয়ে আসামি ছিনতাই

0
304

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
‘ডাকাত’ বলে চার পুলিশ পিটিয়ে আসামি ছিনতাই। নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের সংঘাতপ্রবণ আমাদা গ্রামে ‘ডাকাত’ বলে মাইকিং করে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিনগত গভির রাতে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নড়াইলের লোহাগড়া থানা পুলিশের একজন এসআই ও তিনজন এএসআই আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগানের চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তা থানার এসআই গোবিন্দ আকর্ষণ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও বাবুল হাসানকে সোমবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে লোহাগড়া থানা পুলিশ রোববার দিনগত গভির রাতে আমাদা গ্রামে অভিযানে যায়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে, আসামিরা পাশের কামাল প্রতাপ গ্রামে একটি মাছের ঘেরের ঘরে ঘুমিয়ে আছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ ওই মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে আমাদা গ্রামের আলী আহম্মেদ খানের ছেলে রাঙ্গু খান (২৭), অহিদার খানের ছেলে নাইস খান (২৫), গ্রামপুলিশ দাউদ মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (২৩) এবং মন্টু মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে (২০) গ্রেফতার করে। এদিকে, পুলিশি অভিযান চলাকালে আমাদা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামে ডাকাত হানা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণায় আসামিপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা থানার এসআই গোবিন্দ আকর্ষণ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও বাবুল হাসানকে গুরুতর আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়। সহকর্মীরা আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে সোমবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আমাদা গ্রামের হামিদ মল্লিক মসজিদের মাইকে এই অপপ্রচার করেন। এ সময় আসামি পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার কর্মকর্তাকে আহত করে গ্রেফতার হওয়া চার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ শটগানের চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে আত্মরক্ষা করে। পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোমবার দুপুরে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি। প্রসঙ্গত, আমাদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় আট মাস ধরে আবুল কাশেম খান সমর্থিত লোকজনদের সঙ্গে একই গ্রামের আলী আহম্মেদ খান সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সংহিসতা চলে আসছে। পুলিশের তৎপরতায় ওই গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামবাসী আশ্বস্ত হতে পারছেন না। এ বিষয়ে নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আমাদা গ্রামের হামিদ মল্লিক মসজিদের মাইকে এই অপপ্রচার করেন। এ সময় আসামি পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার কর্মকর্তাকে আহত করে গ্রেফতার হওয়া চার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ শটগানের চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে আত্মরক্ষা করে। থানায় মামলা হয়েছে,আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খবর ৭১/ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here