নড়াইলের দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ হত্যা ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-২

0
365

খবর৭১:হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে (৪৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুর রহমান হিলু। জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান মনি শরীফ ও তার ভাই বাকি উল্লাহ সহ ১৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ওই রাতেই ঢাকা থেকে শরীফ মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামী বাকি উল্লাহ শরীফকে আগেই সন্দেহ জনক ভাবে আটক করা হয়েছে। জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে একাধিক গুলি ও কোপের চিহৃ ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনেরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের মুখ ঢাকা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটকের পর ১৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। চেয়ারম্যান পলাশ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে এবং বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ মাসুম কে হারিয়ে জয়লাভ করেন। এর আগেও একবার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। শোনা গেছে এ দু’জন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। এ দিকে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে সাংবাদিকরা কোন তথ্য জানতে চাইলে বিরক্তবোধ করছেন লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। তিনি তথ্য দিতে গড়িমসি করছেন। সাংবাদিকদের কোন সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেন জেলার সাংবাদিকবৃন্দ।

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here