নড়াইলের কেন্দ্রীয় টার্মিনালে বাস পার্কিংয়ের কথা থাকলেও গড়ে তোলা হয়েছে ময়লার ভাগাড়, হাতিরবাগান পর্যন্ত নিয়মিত যানজট!

0
223

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের টার্মিনালে বাস থাকার কথা থাকলেও রাখাহছে ময়লা দুর্গন্ধের কারণে আশ পাশ এলাকায় থাকা যায় না! যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে নড়াইল শহরে যানজট দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে ভাদুলিডাঙ্গা এলাকায় নির্মিত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে ১০ বছর ধরে। বাস রাখার বদলে ময়লা ফেলায় টার্মিনালটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধের কারণে সাধারণ মানুষ দূরে থাক, পরিবহন চালক-শ্রমিকরাও টার্মিনালে পা ফেলেন না। টার্মিনালের এমন দুরবস্থা নিয়ে পৌরসভা বা জেলা প্রশাসন কারো কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহরকে যানজটমুক্ত রাখার জন্য ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নড়াইল-যশোর সড়কের ভাদুলিডাঙ্গা এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে নির্মিত নতুন টার্মিনালে কয়েকশ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রথম দিকে টার্মিনালটি ব্যবহার হলেও ১০ বছর ধরে এটি পরিত্যক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টার্মিনালের বদলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস সড়কেই পার্ক করা হয়। এতে সড়কে গাড়ি চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় ডিসি অফিস থেকে শুরু করে হাতিরবাগান পর্যন্ত নিয়মিত যানজট দেখা দিচ্ছে। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মূল ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন রঙ না করায় ভবনের চেহারাও মলিন হয়ে পড়েছে। টার্মিনালের ইটের সলিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। টার্মিনালের ভেতরে কয়েকটি বাস-ট্রাক মেরামতের কাজ চলছে। টার্মিনালের বিভিন্ন স্থানে গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, টার্মিনালের ভেতরে মূল গেটে ময়লার ভাগাড় গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ময়লা ফেলছেন পৌরসভার কয়েকজন কর্মী। রতন নামে এক বাস হেলপার, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, টার্মিনালে ১০ মিনিটও বসে থাকা যায় না। প্রতিদিন ভ্যান ও গাড়িতে পৌর এলাকার ময়লা এনে ফেলা হয়। এতে দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তাই এখানে এমনিতেই কেউ আসে না। শহরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মেইন রোডের পাশে পার্ক করে রাখা একটি বাসের চালক বলেন, বাস টার্মিনালে তো গন্ধে যাওয়া যায় না। তাই নিষেধ থাকলেও বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করি। নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা),বলেন, টার্মিনালে বাস থাকার কথা থাকলেও তার বদলে ময়লা ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে আশপাশ এলাকায় থাকা যায় না। আমরা পরিবার নিয়ে বিপদে আছি। নড়াইল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এনামূল কবীর টুক,ু আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ১৯৭২ সালে নড়াইল পৌরসভা গঠনের পর ১৯৯৯ সালে তা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয়। ২৮ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটারের পৌর এলাকায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করে। এখন পর্যন্ত পৌর এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। নড়াইল বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহম্মেদ খান, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বাস টার্মিনাল এলাকায় বর্জ্য না ফেলতে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দ্রুত বাস টার্মিনাল সংস্কার ও ময়লা ফেলা বন্ধ করা উচিত। এ ব্যাপারে নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র রেজাউল বিশ্বাস, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বাস টার্মিনাল এলাকায় অস্থায়ীভাবে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। দ্রুত নতুন স্থান নির্ধারণ করে সেখানে ময়লা-অবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল চৌধুরী, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, পৌরসভার মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালুর পরিকল্পনা করছি। কিছু বর্জ্য আছে যা পচনশীল নয়, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য একটি বর্জ্য শোধনাগার করার চেষ্টা চলছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here