নড়াইলের এক সময়ের গ্রাম-গঞ্জে পদচারণার বেত বাগান বিলুপ্তির পথে!

0
819

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এক সময়ে অনেক বেত বাগান ছিল। আর বেত দিয়ে তৈরি করা হতো বিভিন্ন শৌখিন সামগ্রী। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, আর এ বেতের চাহিদা মেটাতে নড়াইলের বেত ব্যবসায়ীরা গ্রাম-গঞ্জেও পদচারণা করতো। একমাত্র বাহন নৌকায় করে প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেত সংগ্রহ করাই ছিল তাদের কাজ। বেত কিনে বাগানেই বেতের উপরের কাটা যুক্ত খোসা ছাড়িয়ে নৌকায় নিয়েই জমা করতো। সুযোগ বুঝে ফাঁকা মাঠে রোদে শুকিয়ে বেতের শৌখিন ফার্নিচার তৈরি ও বেতের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানায় মণ হিসেবে বিক্রি করতো। কিন্তু এখন প্রত্যন্ত অ লে সেই ধরনের বেত না থাকায় গ্রামা লে ঘুরে ঘুরে বেত ক্রেতারা অন্য পেশায় গিয়ে জীবীকা অর্জন করছে। বেত এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, জাভা ও সুমাত্রা অ লের উদ্ভিদ। বেত ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অ লের ভেজা ও জংলা নিচুভূমিতে ভাল জন্মে। এটি বর্তমানে আবাসন সংকটের জন্য বিপন্ন প্রজাতি। নড়াইলে বেতগাছ সাধারণত গ্রামের রাস্তার পাশে, বসতবাড়ির পেছনে, পতিত জমিতে ও বনে কিছুটা আর্দ্র জায়গায় জন্মে। কিছুদিনের মধ্যেই বেত ঘন হয়ে ঝাড়েও পরিণত হয়। বেতগাছ জঙ্গলাকীর্ন কাঁটা ঝোপ আকারে দেখা যায়। বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়াও হাওরের কান্দাতে বেতগাছ জন্মে। চিরসবুজ এই উদ্ভিদটি পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় ৪৫ থেকে ৫৫ ফুট এবং কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি লম্বা হয়ে থাকে। এছাড়া লম্বা বেত ফালা করে নানা কিছু বাঁধার কাজেও ব্যবহার করা হয়। আর শুকনো বেত দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্প জাতীয় জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। যেমন- চেয়ার, টেবিল, বই রাখার তাক, সোফা, দোলনা, খাট, টেবিলল্যাম্প, ল্যাম্পশেড ইত্যাদি। এটি গৃহনির্মাণ কাজেও ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে রেস্তোরা, ঘর বা অফিসের শৌখিন পার্টিশন হিসেবে এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া নড়াইলের ফলদ, বনজ এবং ওষুধি গাছের চারা পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বেত চাষের জন্য বরাদ্দ আসলে বেতকে আরো সম্প্রসারিত করা যেত।
খবর ৭১/ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here