উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই এখন রোগী। চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। বরং নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২২ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন। সামান্য কিছু সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসলে রোগীদের ডাক্তার অভাবে পাঠানো হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ অথবা রাজধানী ঢাকায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসক ও জনবল সংকট রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। ১৮ জন নার্সের মধ্যে আছেন ১৩ জন, দুইজন সুপার ভাইজারের মধ্যে আছেন একজন। মিডওয়াইফ চারটি পদের মধ্যে একজনও নেই। ল্যাবরোটরিতে তিনজনের মধ্যে আছেন একজন। এদিকে এক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ডেন্টাল কেয়ার ও অন্যান্য চিকিৎসার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। মেরামতের নেই কোনো ব্যবস্থা। এছাড়া হাসপাতালের ক্ষতিকারক বর্জ্য সংরক্ষণ ও অপসারণের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। আরেফা খাতুন নামে এক রোগী, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ডাক্তার কম, রোগী অনেক, সেজন্য সকাল থেকে বসে দুপুরে ডাক্তারের দেখা পেলাম। ওষুধও বাইরে থেকে কিনতে হবে। কোমরে আঘাত পেয়ে বাবরা গ্রামের সালাম শেখ এসেছেন চিকিৎসা নিতে। তিনিও প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে চিকিৎসকের দেখা পেয়েছেন। ডাক্তার এই বৃদ্ধাকে বলেছেন বাইরে থেকে এক্স-রে করে আনতে। হাসপাতালের আরএমও বলেন, এখানে যেসব কনসালটেন্ট ডাক্তার থাকার কথা তা নেই। যে সব চিকিৎসক আছেন তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ফলে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। নড়াইলের কালিয়া পৌর মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, বর্জ্য অপসারন করার মতো আমাদের কোনো জায়গা নেই। চেষ্টা করছি যত দ্রুত জায়গার ব্যবস্থা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।