নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের পৈত্রিক নিবাস নওগাঁয়

0
444

সুলতান আহমেদ,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পাইলট আবিদ সুলতানের বাড়ি নওগাঁয়। তিনি জেলার রানীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের খট্টেশ্বর রাণীনগর গ্রামের খাঁন পাড়ার মরহুম এমএ কাশেম খাঁনের ছেলে। তার বাবাও পাইলট ছিলেন।

জানা যায়, চাকরির সুবাদে এমএ কাশেম খাঁন প্রায় ৬৫ বছর আগে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। আবিদের জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকায়। তারা পাঁচ ভাই। গ্রামের বাড়িতে স্মৃতি চিহ্ন বলতে রয়েছে ইটের প্রাচীর ঘেরা একটি পুরাতন মাটির বাড়ি। আবিদের আত্মীয়রা গ্রামের পৈত্রিক বাড়িটি সংস্কার করে বসবাস ও জমিজমা দেখভাল করছেন।

সুলতানের অন্যান্য ভাইয়েরা অনেক দিন পর পর তাদের গ্রামের বাড়িতে আসতেন। কিন্তু আবিদ সুলতান তেমন একটা আসতেন না তাদের গ্রামের বাড়িতে। আবিদ সুলতানের মায়ের নাম সালেহা বেগম। আবিদের মা’ও পরলোকগমন করেছেন।

আবিদ সুলতান বিয়ে করেছেন নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায়। তার একমাত্র ছেলে তানজিব বিন সুলতান। তানজিব ঢাকায় ‘ও’ লেভেলে পড়াশোনা করছে। আবিদের মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। আবিদ সুলতানের লাশ বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, আবিদ সুলতানের পৈত্রিক বাড়িটি পরিদর্শন করেছি। দীর্ঘদিন তাদের এই পৈত্রিক গ্রামের বাড়িতে কোন প্রকার যাওয়া-আসা নেই। তাই এখানে তাদের স্মৃতি চিহ্ন বলতে তাদের পৈত্রিক এক মাটির বাড়ি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদ সুলতান মঙ্গলবার ভোররাতে মারা যান।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here