নিয়ম না মানলে আইনী ব্যবস্থা সৈয়দপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬ প্রবাসী

0
533
সৈয়দপুরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সামাজিক সংগঠন প্রত্যাশা ’৮৬ এর উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিতরণ অব্যাহত

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
সৈয়দপুর উপজেলায় ৬ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাশার। বিদেশ ফেরত এসব প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে। এর তদারকির জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নজরদারি করছেন। প্রবাসী ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এ সময় ঘরের বাইরে না আসতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এজন্য তাদের পরিবারের অভিভাবক ও সদস্যদের প্রবাসী ব্যক্তির ক্ষেত্রে সতকর্তা মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ নিয়ম কানুন অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে জরিমানা করা হবে।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাশার জানান, গত ৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৬ জন প্রবাসী সৈয়দপুর ফিরেছেন। গতকাল পর্যন্ত এসব প্রবাসীর মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ পাওয়া যায়নি। আমরা প্রত্যেক প্রবাসীর ওপর নজর রাখছি। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে এসব করা হয়েছে। সৈয়দপুর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীরা হলেন শহরের গোলাহাট এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, বোতলাগাড়ীর ইউপির দক্ষিণ সোনাখুলীর নলছা পাড়া এলাকার তৌহিনুর আলম, শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার মো. রাকিব, বিমানবন্দর পশ্চিম পাড়া এলাকার রাহেদুল ইসলাম ও শহরের নয়াটোলা এলাকার মো. সাখাওয়াৎ এবং কামারপুকুর ইউপির দলুয়া নয়া বাড়ি এলাকার মো. মাহবুব। এসব প্রবাসীদের প্রথম ২ জন ইতালি, তৃতীয় জন কানাডা, চতুর্থ জন কঙ্গো, পঞ্চম জন সিঙ্গাপুর ও শেষের জন ব্রুনাই থেকে দেশে ফেরেন।
ডা. বাশার জানান, গোটা উপজেলায় বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের তথ্য হালনাগাদ রাখতে এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করতে ওয়ার্ডভিত্তিক ৪৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জরুরী সভা ডেকে ৮ সদস্য বিশিষ্ট ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। তিনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে আতংকিত না হয়ে সকলকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর উত্তম পন্থা হোম কোয়ারেন্টাইন। এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত লিফলেট বিতরণের কাজ চলছে। একই সঙ্গে চলছে প্রবাসী ব্যক্তির ওপর নজরদারি। এছাড়াও সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ৫ শয্যা আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে।
জানতে চাইলে, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ জানান, সৈয়দপুরে আসা প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এসব প্রবাসীরা কোয়ারেন্টাইন নিয়ম পালন করছেন কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ে তিনিসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রবাসীর বাড়ি পরিদর্শন করছেন। এছাড়াও পৌরসভা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। তবে সবাই নিয়ম মেনে চললে ভীত হওয়ার কিছু নেই। উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here