নিদ্রাহীনতায় হতে পারে স্ট্রোক হৃদরোগ বিশ্বে ১০ কোটি মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না

0
275

খবর৭১ঃঘুম মানুষের একটি অত্যাবশ্যকীয় শরীরবৃত্তিক প্রক্রিয়া। পরিমিত ঘুম সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকিও কমায়।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। নিদ্রাহীনতা একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যহীনতা। বিশ্বের প্রায় ৪৫ ভাগ মানুষ নীদ্রাহীনতাজনিত স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে রয়েছে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্তত ১০ কোটি মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। বিশ্বের ৮ শতাংশ মানুষ নিদ্রাজনিত রোগ এবং নাক ডাকা সমস্যায় আক্রান্ত। শুধু আমেরিকাতেই ২ কেটি ২০ লাখ মানুষ নিদ্রাহীনতায় ভুগছে। ঘুমের সমস্যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই হতে পারে। বয়সভেদে এর কারণেও ভিন্নতা রয়েছে। নিদ্রাহীনতার সমস্যা সাধারণ শারীরিক অস্বস্তি দিয়ে শুরু হয়ে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্টের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি করে।

মানুষের জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বোঝাতে প্রতিবছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার ‘বিশ্ব নিদ্রা দিবস’ পালন করা হয়। ২০০৮ সালে প্রথমবার দিসটি পালন করে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সুনিদ্রাই নিশ্চিত করে সুস্বাস্থ্য’। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুনিদ্রার উপকারিতা বহুবিধ। প্রশান্তিময় ঘুম মানসিক চাপ কমায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়, শিশুদের মেধা বিকাশে সাহায্য করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, সুস্থ মানসিকতা সুরক্ষা ও কর্ম উদ্দীপনা বাড়ায়।

ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন সুনিয়ন্ত্রিত জীবন। বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণে সব বয়সের মানুষের ঘুমের সমস্যা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত এডিনয়েড ও টনসিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

বড়দের বেলায় নাকের হাড়বাঁকা, বড় আকারের টনসিল, নাকের পলিপ এবং অতিরিক্ত ওজন এর মূল কারণ। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ ঘুম কম হওয়ার বিষয়টি সরাসরি বুঝতে পারেন না।

এ প্রসঙ্গে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক, কান, গলা ও হেড নেক সার্জারি বিভাগ অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু বলেন, শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমতে এবং ঘুম থেকে উঠতে হবে। দিনের বেলা ৪৫ মিনিটের বেশি ঘুমানো যাবে না।

ধূমপান এবং এলকোহল বর্জন করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পূর্বে চা, কফি, চকলেট, সোডা বর্জন করতে হবে। রাতে ভারি এবং মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। ঘুমানোর জন্য ভালো পরিবেশ নিশ্চত করতে হবে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে সব স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here