নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলায় নিহতদের দাফন শুরু

0
400

খবর৭১ঃনিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত ৫০ জনের মধ্যে দুজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। বুধবার জানাজার পর ক্রাইস্টচার্চে শতাধিক ব্যক্তির নীরব উপস্থিতিতে মেমোরিয়াল পার্কে তাদের কবর দেওয়া হয়।

এরা হলেন, ৪৪ বছর বয়সী খালেদ মোস্তফা ও তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে হামজা।

জানাজা ও দাফনের সময় সেখানে কয়েকশ লোক উপস্থিত ছিলেন। টুপি পরা পুরুষদের পাশাপাশি সালোয়ার, কামিজ ও হিজাব পরা অনেক নারীও ছিলেন।

এই শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য অকল্যান্ড থেকে ক্রাইস্টচার্চে আসা গুলশাদ আলি বলেন, লাশ কবরে শুইয়ে রাখা হচ্ছে, আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি, খুব কষ্ট হচ্ছে।

পার্কের ভেতরে একটা এলাকায় ওজু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা পুলিশের রিভলভারের হোলস্টারে ও তাদের অত্যাধুনিক রাইফেলে গোঁজা ছিল ফুল।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় আটক ট্যারেন্ট আরও হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশপ্রধান। পুলিশ জানায়, পরবর্তী হামলার আগেই তাকে আটক করা হয়েছে। গত শনিবারে তাকে আদালতে নেয়া হলে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত সপ্তাহে দুই মসজিদে ওই সন্ত্রাসীর গুলিতে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় ব্রেনটন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ নরহত্যার অভিযোগ এনেছে।

বুধবার পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে আরও আক্রমণের পথে সন্দেহভাজনকে তারা থামিয়েছে।

তিনি বলেন, অনেক জীবন বেঁচেছে। তবে কোথায় পরবর্তী হামলার লক্ষ্য ছিল তা বলা হয়নি।

এদিকে পুলিশ রিমান্ডে থাকা ট্যারেন্টকে আগামী ৫ এপ্রিল ফের আদালতে হাজির করা হবে। তখন তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহভাজন জঙ্গির প্রোফাইল তৈরি করছে।

রাজধানী ওয়েলিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, এটি পুরোপুরি একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত তা আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি আমি।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here