খবর৭১ঃ চলছে এখন পূজার মৌসুম। তাই খাবারে থাকে নারিকেলের নানা পদ। মিষ্টি নাড়ু, সন্দেশ থেকে শুরু করে নারিকেলের অনেক ঝাল খাবারও বেশ মজাদার। কিন্তু নারিকেল দুধও যে একটি স্বাস্থ্যকর ও মজাদার খাবার যার উপকারিতা অনেক তা কী জানেন।
ভাইরাস কমায়ঃ এই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা, মামস বা হারপিস রোগের ভাইরাস অনেক বেড়ে যায়। এই ধরনের ভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম নারিকেল দুধ।
ওজন কমাতেঃ নারিকেলের দুধে ট্রাইগ্লিসারাইডস থাকায় তা মেদ কমাতে সাহায্য করে। রোজ ২০০ গ্রাম নারিকেল খেলে মাত্র ৩ মাসেই কমে পেটের মেদ।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়ঃ নারিকেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে লোহা বা আয়রন। যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে ও অ্যানিমিয়ার সমস্যা রোধ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ নারিকেলে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যকে দূরে সরিয়ে রেখে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ক্যানসারঃ নারিকেলের পানিতে থাকে সাইটোকাইনিন নামক হরমোন যা ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেকআপ রিমুভারঃ দুই চামচ নারিকেলের দুধ মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর হালকা ভাবে মালিশ করে তুলা দিয়ে মুছে মেকাআপ তুলে ফেলুন।
স্ট্রেস কমায়ঃ নারিকেলের দুধে ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকায় তা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেশির চাপ কমিয়ে রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে নারিকেল দুধ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ নারিকেল দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সর্দি-কাশির মত সমস্যা কমায়।
ত্বকের পোড়া ভাবঃ রোদে পোড়া ত্বকের উপর নারিকেলের দুধ লাগিয়ে রাখলে চার সপ্তাহের মধ্যে ফিরে পাবেন আগের ত্বক।
ব্যথা ও ফোলা কমায়ঃ শরীরে কোনো জায়গায় ব্যথা হলে বা ত্বকের কোথাও ফুলে গেলে নারিকেলের দুধ দিয়ে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়। নারিকেলের দুধে থাকা ফ্যাট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
হাড়ের গঠনঃ নারিকেলের পানিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় ও দাঁতের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
খবর৭১/ইঃ