খবর৭১: যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে তারেক রহমানের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকলেও মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাক্টের অধীনে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপনের তথ্য জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আইনমন্ত্রীও মনে করেন, তারেক রহমান এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন। তবে ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিতে চাইলে সেটি পারবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছেন দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের জন্য তিনি তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। তার মানেটা দাঁড়ায়- তারেক রহমান আপাতত বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চান না। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ডিনাই করেছেন।’
এসময় তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর বিভিন্ন তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অপরাধ করেছেন। অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন।’
তারেককে দেশের ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান আনিসুল হক।
এদিকে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আবেদন করলেও নতুন পাসপোর্ট পাবেন না।
তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট আদেশ-১৯৭৩ অনুযায়ী, আবেদনের সময় থেকে পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে কেউ অন্তত দুই বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হলে পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্য হবেন না। তারেক রহমান লন্ডন হাইকমিশনে ২০১৪ সালে পাসপোর্ট জমা দেন এবং সেই থেকে তিনি নতুন পাসপোর্টের জন্য কোনো আবেদন করেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট আত্মসমর্পণের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। কোন ব্যক্তির পাসপোর্ট না থাকলে তার নাগরিকত্ব বাতিল হয় না। যদি তারেক রহমান তার নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়ে আবেদন করে থাকেন তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু তারেক রহমান তার নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন করেছেন কিনা সে বিষয়ে আমাদের ধারণা নেই।’
মাসুদ রেজোয়ান বলেন, ‘তারেক রহমান তার পাসপোর্ট ফেরত পেতেন যদি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকতো। কিন্তু এটা এখন সকলেই জানেন যে তারেক রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তারেক রহমান যদি তার পাসপোর্ট পেতে চান তাহলে তাকে দেশে আসতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।’
খবর৭১/এস: