খবর ৭১: বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যকার মঙ্গলবার এক চুক্তি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে নভেম্বর থেকেই মিয়ানমার ফিরবে বাংলাদেশের অবস্থান করা রোহিঙ্গারা। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা বলেছিলেন মিয়ানমারে মুসলমান সংখ্যালঘুদের উপর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এবং এর সাথে জড়িতদের বিচার করা উচিত। এই এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হলো মিয়ানমার।
গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলায় ৭ লাখের উপরে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। রোহিঙ্গাদের উপর গণধর্ষণ, খুন ,গণহত্যা, লুটপাট চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছিলেন মিয়ানমারে গণধর্ষণের অপরাধে সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার করা উচিত। জাতিসংঘের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার বলেছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এর আগে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার ঘোষণা করেছিল ২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এর জন্য বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার একে অপরকে দোষারোপ করছে। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে ১০০ জনের মত রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে গেছে কিন্তু বাংলাদেশে তাদের এই দাবী অস্বীকার করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শহিদুল হক বলেন নভেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত্যে এসেছে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র কর্মকর্তা মাইন তু বলেছেন আমরা দু’পক্ষই গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আগামী মাস থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি সম্মত হয়েছি। সূত্র: আলজাজিরা