খবর৭১ঃঘূর্ণিঝড় তিতলির পরপরই বিদায় নিয়েছে বর্ষা। সামনে আসছে শীতকাল। তবে এখনো শঙ্কা কাটেনি ঘূর্ণিঝড়ের। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নভেম্বরে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় ১ থেকে ২টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে। কিন্তু নিম্নচাপের দু’টির মধ্যে একটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নভেম্বর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে ক্রমহ্রাসমান হারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, ডিসেম্বরে পুরো শীতকাল বিরাজ করবে কয়েকটি শৈত্য প্রবাহ নিয়ে। এরমধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহের ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যারোমিটারের পারদ নেমে আসতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এ শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে। আর ডিসেম্বরের শেষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় শেষরাতে মাঝারি ধরনের ঘন থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে।
অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তবে এ মাসেই তাপমাত্রা ক্রমহ্রাসমান হারে কমবে। ইতিমধ্যে কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ঠাণ্ডার অনুভূতি। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবেই এমনটি হচ্ছে। ২০১৭ সালের মতো এবার তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে আসবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিললির পর বেশ ভালোভাবে নেমে এসেছে ঠাণ্ডার আমেজ। সকালে-বিকেলে মোটামুটি মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও এখনো তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই রয়েছে। কোথাও কোথাও এখনও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে।
খবর৭১/ইঃ