নবীগঞ্জে অপহরণের ১৫ দিন পরও উদ্ধার হয়নি লন্ডনী কন্যার স্বামী ও কার চালক

0
241

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃনবীগঞ্জে অপহরণের ১৫ দিন পরও উদ্ধার হয়নি লন্ডনী কন্যার স্বামী ও কার চালক। এদিকে, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করলেও থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোটা উপজেলায় চলছে তোলপাড়। জানা যায়, গত ৫মার্চ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরা পাশা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা সালাউদ্দিন মনসুরের কন্যা সরিফা নুসরাত তাইবা তার স্বামী মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাইমুনকে নিয়ে একটি প্রাইভেটকার (মেট্রো-গ ১২-২২৩৪) যোগে মৌলভীবাজার জেলার রায়পুর (মামরকপুর) মামার বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি গ্যাস পাম্পের অদুরে এফ.ডি সুপার মার্কেটের সামনে পৌছামাত্র গতিরোধ করে অপর একটি ‘হাইএ্যাক্স’ ব্রান্ডের গাড়ি। এ সময় ওই গাড়িতে থাকা একদল অস্ত্রধারী তাইবা, মাইমুন ও প্রাইভেটকার চালককে অপহরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাইবা কৌশলে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হলেও মাইমুন ও প্রাইভেটকার চালককে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে অপহৃতদের উদ্ধার করতে দুই দিনের সময় নেন ওসি। ২দিন পর আবার থানায় এসে যোগাযোগ করলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ অপারগতা প্রকাশ করে মৌলভীবাজার থানায় মামলা করার পরার্মশ দেয়। এরই মাঝে গত ১১ মার্চ সোমবার বিকেল ৪ টায় অপহরণকারীরা +০০৯৬৩৮৮৮৮৭৬৩ এবং মায়মুনের সাথে থাকা মোবাইল ০১৭১২-০৪৫৫০৬ নাম্বার থেকে অপহৃতের চাচার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরদিন মায়মুরের পরিবারের লোকজন সেই কলের ভয়েস রেকর্ড ও নাম্বারসহ বিস্তারিত তথ্য জানাতে নবীগঞ্জ থানায় যান। কিন্তু থানার ওসি এ বিষয়ে তাদের কোন সহযোগীতা করতে পারবেন না বলে জানান। পরে উপায়ন্তর না দেখে গত ১৪ মার্চ অপহৃতের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মুস্তাফিজ সিলেট রেঞ্জের ডি.আই.জি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন মায়মুনের পরিবার। মায়মুন সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লতিফপুর গ্রামের মাওলানা মাহমুদ হোসাইনের পুত্র।
মায়মুনের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও অপহরণকারী ও অপহৃতদের কোন সন্ধানই পায়নি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। উপরন্ত এ ঘটনার পর পুলিশের ভুমিকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here