নতুন রূপে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়

0
582

খবর ৭১ঃ  বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সেজেছে নতুন রূপে। পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে আধুনিক ১০ তলা ভবন। যার ফলে বাংলাদেশের একমাত্র আধুনিক রাজনৈতিক দলের বহুতল ভবন হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে এই জেষ্ঠ্য রাজনৈতিক দলের ভবনটি।

আগামী ২৩ জুন শনিবার ঢাকার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ১০তলা ভবনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে। ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর দিন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর দিনেই গণভবন থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় শুভ উদ্বোধন করবেন।

এর আগে গত কয়েকদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা ভবনটি ঘুরে দেখেছেন। ভবন নির্মাণের তদারককারী ও দলের প্রেসডিয়াম সদস্য গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলাদেশ জার্নাল।

দলের একাদিক নেতা জানান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি দেশের বৃহত্তম পার্টি অফিস হবে। পুরনো ভবন ভাঙার প্রায় দুই বছর পর নতুন ভবনে উঠতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্র জানায়, নবনির্মিত ১০ তলা ভবনের ৬ থেকে ৭ তলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় থাকবে। আরও থাকবে কনফারেন্স হল, সেমিনার অডিটরিয়াম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, সাংবাদিক লাউঞ্জ ও ডরমিটরি।

ভবনটির সার্বিক বিষয় নিয়ে দলটির একাধিক নেতা জানান, সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের জন্য বড় পরিসরে আলাদা কক্ষ থাকছে। পুরো কার্যালয়টিতে ওয়াইফাই জোন হবে।

দলটির একাধিক প্রবীণ নেতা জানান, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের অফিস স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছে আট থেকে নয় বার। পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার পর পর্যায়ক্রমে সিনিয়র নেতাদের বাসায় বসে দল পরিচালনার নীতি-কর্মসূচি গ্রহণ করা হত। ওই সময়ে কোনো অফিস ছিল না। এরপর ১৯৫৩ সাল থেকে ৯ কানকুন বাড়ি লেনে অস্থায়ী একটি অফিস ব্যবহার করা হত। ১৯৫৬ সালে পুরান ঢাকার ৫৬ সিমসন রোডে দলের অফিস স্থাপন করা হয়।

১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার পর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯১, নবাবপুর রোডে দলের অফিস নেন। এর কিছুদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছু দিন বসেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঠিকানা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ জুলাই এই কার্যালয়টি ভাঙা হয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ দলের আরও নানা সংগঠন কার্যালয়টির আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে অফিস ভাড়া নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here