নতুন বছরে ইনবক্সে সারপ্রাইজ মেসেজ, খোলার আগে ভাবুন

0
644
নতুন বছরে ইনবক্সে সারপ্রাইজ মেসেজ, খোলার আগে ভাবুন

খবর৭১ঃ
এ ধরণের সারপ্রাইজ উইশ-এর বার্তা ফেসবুকের মেসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপে অনেকেই পেয়েছেন। অনেকে এটিকে স্প্যাম বুঝতে পেরে এড়িয়ে গেলেও না বুঝে খুলে দেখেছেন অনেকে।

এনিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে কিংবা ট্রল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট দিয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী। কিন্তু আপনিও যদি এ ধরণের বার্তা পেয়ে থাকেন ইনবক্সে, যেটি আপনার কোন বন্ধুর কাছ থেকে এলেও ওয়েবসাইটের ঠিকানা হিসেবে wish4u.com বা my-love.co লেখা রয়েছে, সেটিতে যেন ভুলেও ক্লিক করবেন না।

এটি আসলে এক ধরণের সফটওয়্যার যেটি আপনার ব্রাউজারে ইন্সটল হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের ক্ষতিকর সফটওয়্যারকে ব্রাউজার হাইজ্যাকারও বলা হয়।

অবশ্য সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিকসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ফাহিম বলেন, ‘এটা সে অর্থে কোন ম্যালওয়্যার না। এটা খুব বেশি ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকরও না। এটা যে তৈরি করেছে সে তার কিছু মনিটরি ইনকামের জন্য তৈরি করেছে। এটা গুগলে ক্লিকের মাধ্যমে কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া যায়, রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। আর এটাতে তো অনেকেই ক্লিক করছে, হ্যাপি নিউ ইয়ারের উইশ হিসেবে, এটা থেকে সে কিছু টাকা পয়সা জেনারেট করছে গুগল এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে।’

কী কী ক্ষতি করে এই সফটওয়্যার? my-love.co বা wish-you.co থেকে যে বার্তা আসছে, তাতে ক্লিক করলে মূলত এক ধরণের ক্ষতিকর সফটওয়্যারের ডাউনলোড সচল করে দিচ্ছে। এই সফটওয়্যার বিভিন্ন ধরণের জনপ্রিয় সব ব্রাউজার যেমন ক্রোম, ফায়ারফক্স, অপেরা এবং সাফারির সঙ্গে একীভূত হয়ে যেতে পারে। একবার ইন্সটল করা হলে এটি সাধারণত ডিফল্ট ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিনের হোমপেইজকে পরিবর্তন করে দেয় এবং এর পরিবর্তে স্পন্সর করা একটি হোমপেইজ ইন্সটল করে দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্রাউজার স্ক্রিনে প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন, ব্যানার, পপ-আপ মেসেজ এবং কিছু নোটিফিকেশন আসে, যার কারণে অনেক সময় নানা ধরণের লিংকে ক্লিক করতে হয়।

কীভাবে বুঝবেন এটা ম্যালওয়্যার সাধারণত একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় যে ডিভাইসে ব্রাউজার হাইজ্যাকার রয়েছে কিনা। কারণ এ ধরণের সফটওয়্যার থাকলে ডিফল্ট ব্রাউজারে নতুন হোমপেইজ তৈরি হয় বা আগেরটি পরিবর্তিত হয়, ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন বদলে নতুন ধরণের সার্চ ইঞ্জিন আসে, আগে ছিল না এমন কিছু নতুন টুলবারও যোগ হয়। এর ফলে আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করতে যাই তখন তা এমন কিছু ওয়েব লিংকে রি-ডিরেক্ট করা হয় যেখানে হয়তো আমরা কখনোই যেতাম না। ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর ভাইরাস বা সফটওয়্যার- প্রতিনিয়তই এগুলোর বৈশিষ্ট্য বদলায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিস্টার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘কোন লিংক নিয়ে সন্দেহ হলে সেটি নিশ্চিত করতে হলে ‘ভাইরাস টোটাল ডটকমে গিয়ে যে লিংক পাঠানো হয়েছে সেটি না খুলে শুধু কপি করে ভাইরাস টোটালে দিলেই সেটি বলে দেয় যে লিংকটি ম্যালওয়্যার কিনা।’ তবে ম্যালওয়্যার না হলেও যে সেটি নিরাপদ বলা যাবে না।

খবর: বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here