মো.আবু সাইদ, পত্নীতলা (নওগা) প্রতিনিধি :নওগার পত্নীতলায় নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্ত্তৃক প্যারাসাইড নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে । প্যারাসাইড নির্মান কাজে প্রয়োজনীয় ইট, সিমেন্ট, রড ও পোস্টের ব্যবহার না করে শুধু নামমাত্র নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে প্যারাসাইড নির্মাণ করায় এক মাসের মধ্যেই তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। সংশ্লিস্টদের প্রতি এলজিইডি র্কতৃপক্ষের কোনো নজরদারি না থাকায় তারা এমন নি¤œমানের কাজ করার সুযোগ পেয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন অভিযোগ করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পতœীতলা উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এডিপি রাজস্ব খাতে নজিপুর ইউপির যোগীবাড়ী দক্ষিণ পাড়া তজিবরের বাড়ির সামনে পুকুর পাড় ও দোচাই সরকার পাড়া সুদামের বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে ২৪.৩০০ মিটার নির্মাণের জন্য ২ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। নিয়মানুযায়ী এক নম্বর ইটের ১০ ইঞ্চি গাঁথুনি দিতে হবে। উচ্চতা হবে ৩ ফিট, পোস্ট তৈরিতে রডের ব্যবহার করতে হবে। পোস্টগুলো ২ ফিট পরপর বসাতে হবে।
সরেজমিনে রবিবার যোগিবাড়ী তজিবরের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেছে, প্যারাসাইডে নি¤œমানের ইট, খোয়া, রড দিয়ে তৈরি পোস্ট বসানো হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি পোস্ট ইতিমধ্যে উঠে গেছে। অপরদিকে দোচাই গ্রামে সুদামের বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে প্যারাসাইডে কোন পোস্টই বসানো হয়নি। প্যারাসাইড নির্মানের সময় নিয়ম মাফিক সিমেন্ট ব্যবহার না করায় সেগুলো উঠে যাচ্ছে। প্রকল্পের সভাপতি নজিপুর ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শ্রী সুনিল কুমার বলেন, প্যারাসাইড নির্মানে কোন অনিয়ম হয় নি। তবে এখনো কিছু কাজ বাঁকি রয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাকে না জেনেই প্যারাসাইডের নির্মান কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পতœীতলা উপজেলা প্রকৌশলী সৈকত দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি । ফিরে গিয়ে বিষয়টি দেখব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, প্যারাসাইডে নির্মান কাজে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তবে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর৭১/ইঃ