নগ্ন হয়ে উপস্থাপনায় বিবিসির ২ নারী রিপোর্টার!

0
247

খবর৭১: মানুষের শরীরের নানা চিত্র আর নগ্নতা নিয়ে বিবিসিতে একটি অনুষ্ঠান প্রচার হয়। এটি উপস্থাপন করেন দুই নারী রিপোর্টার। পুরো অনুষ্ঠানটি তারা নগ্ন হয়ে উপস্থাপন করেন।

বিবিসি শেফিল্ডের দি ন্যাকেড পডকাস্ট অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জেনি এলস ও কেট হ্যারবোর্ন। প্রায় এক বছর ধরে অনুষ্ঠানটি তৈরি করছেন তারা।

পডকাস্টের ওই আলোচনা শুরুর ঠিক আগে আগে কাপড়-চোপড় খুলে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে যান দুই উপস্থাপিকা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি থেকে তাদের নারী অতিথিরা আসেন। আলোচনার সময় তাদের শরীরেও কোনো কাপড় থাকে না।

কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা?

জেনি বলছেন, ‘আমরা দেখতে চেয়েছি, নগ্ন অবস্থায় মানুষ কি সত্যিই সব কিছু খুলে বলে? মানুষ কি আরও খোলামেলাভাবে আলোচনা করে?’

‘যে নারীদের সঙ্গে আমরা এই অনুষ্ঠানে কথা বলেছি, তারা আসলে তাই করেছেন।’

নগ্ন হয়ে উপস্থাপনা বা অতিথি হয়ে আসা সহজ কাজ নয়। তবে কেউ সামনে নগ্ন হয়ে বসলে অনেকটাই হালকা হয়ে যাওয়া আর বিশ্বাস তৈরির ঘটনা ঘটে বলে তারা জানান।

এ সিরিজে ১০টি এপিসোড রয়েছে এবং বিবিসি শেফিল্ড বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে।

যদিও নগ্নতার বিষয়ে আলোচনা হলেও সেটি প্রচার হয় পডকাস্টে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শোনা যায়। ফলে তাদের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ আসলে কারো চোখে পড়বে না।

কিন্তু খোলামেলা আর আন্তরিক আলোচনার পরিবেশ তৈরির জন্যই তাদের এ উদ্যোগ।

কেট বলেন, ‘আমাদের দুজনেরই বয়স ত্রিশের কোঠায়। মেয়েরা অনেক সময় ব্যয় করে তাদের শরীর নিয়ে, কীভাবে আরও চিকন বা ফিট হবে, চুলের স্টাইল কী হবে, চামড়া রোদে পুড়বে কিনা ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, কী বিশাল সময় আমরা নষ্ট করেছি। কিন্তু সাধারণ নারীদের এর চেয়েও আরও অনেক বেশি সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।’

কেট বলেন, ‘প্রথমে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর সময় আমরা ভেবেছিলাম যে, একজন শক্তিশালী, বুদ্ধিমতী ও মজার ধরনের একজন নারীর সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। কিন্তু নগ্ন হয়ে আলাপচারিতা শুরুর পর দেখা গেল, তারা নিজের শরীর নিয়ে কতটা বিব্রতকর, নেতিবাচক কথাই না ভেবেছেন।’

তাদের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন মডেল, মূত্র জটিলতায় ভোগা একজন নারী, যাকে সবসময় মূত্রথলি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। আরেকজন মুসলিম নারী, যিনি বিয়ের পরই প্রথম কোনো নগ্নদেহ দেখেছেন, যা ছিল তার স্বামীর।

তাদের সঙ্গে গল্পে জীবনের বিচিত্র দিক, যৌন নির্যাতন, ব্যক্তিগত নানা বিষয় উঠে এসেছে।

জেনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমরা এই কাজটি শুরু করি। এখন আমি আমার নিজের শরীর নিয়ে শতভাগ স্বস্তিবোধ করি।’ সূত্র : বিবিসি বাংলা।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here