ধারালো অস্ত্রের আঘাতেই মিরপুরে মা ও দুই মেয়ের মৃত্যু

0
438

খবর ৭১ঃ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাজধানীর মিরপুরে পাইকপাড়ায় মা ও দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিকেল বিভাগের প্রধান ডা. সেলিম রেজা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

নিহত জেসমিন আক্তার ও তার দুই মেয়ের লাশ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাদের তাদের শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। জেসমিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার ছিলেন। তার স্বামী হাসিবুল ইসলাম সংসদ সচিবালয়ের সহকারী লেজিসলেটিভ ড্রাফটসম্যান হিসেকে কাজ করেন।
মিরপুরের বাঙলা কলেজসংলগ্ন কলোনির ১৩৪ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার ওই ফ্ল্যাটে তারা প্রায় ১০ বছর ধরে বসবাস করছেন।

দুপুরে ডা. সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে আপনারাও বোঝেন, আপনারাও নিশ্চই সুরতহাল রিপোর্টে পড়েছেন, সে আঘাতগুলো আমরা পেয়েছি। এখন মৃত্যুর সঠিক কারণ কী সেটাতো আসলে একটি অনুসন্ধানের ব্যাপার।’

সেলিম রেজা আরও বলেন, ‘সাধারণত এরকম হয়তো একটি আঘাত থাকে, কিন্তু কতগুলো আঘাত সারা শরীরে আছে, এমনকি বাচ্চা দুটোরও। এটা আপনারা সুরতহাল রিপোর্টে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

এর আগে জেসমিন আক্তার তার দুই মেয়েকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিজেদের ধারণার কথা জানায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, জেসমিনের শোয়ার ঘর থেকে রক্তাক্ত ছুরি ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।

নিহতদের স্বজন, প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ২টার দিকে অফিস থেকে ফিরে নিজের কক্ষে দুই মেয়েকে খাটে বসিয়ে ভাত খাওয়ান জেসমিন। এর পর নিজে না খেয়েই তাদের নিয়ে দরজা আটকে শুয়ে পড়েন। বিকেল ৫টার দিকে জেসমিনের স্বামী হাসিবুল বাসায় ফেরেন। স্ত্রী ও দুই মেয়ে ঘুমাচ্ছে ভেবে তিনি তাদের না জাগিয়েই নামাজ পড়তে যান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেসমিনের ভাই শাহীনুল বাসায় ফিরে দরজায় শব্দ করেও বোন ও ভাগনিদের সাড়া না পেয়ে কক্ষে উঁকি দেন। এ সময় কাচের ফাঁক দিয়ে রক্ত দেখতে পান। এর পর দরজা ভেঙে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

জেসমিন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here