হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বোর ধান কাটা প্রায় শেষ হলেও হাসি নেই কৃষকের মনে। দিন মজুর থেকে শুরু করে প্রতিটা পরিবারের ঘরে-বাইরে বোর ধানের স্তুপ পড়ে রয়েছে। একদিকে অতিবৃষ্টির কারণে হাওরে জলাবদ্বতা ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে তারাহুরা করে ক্ষেতের কাচা ধান কেটে নিয়ে আসনে এখানের কৃষকরা। বর্তমানে ঘরে রাখা শতকরা ৭০ ভাগ ধানে চাড়া হয়ে যাওয়া কৃষকের ভাবনার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিবছর বোর ধান চাষিদের একটার পর একটা সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষক পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপকালে একাধিক কৃষক বলেন, আমরা আর পারছিনা আগামীতে বোর ধান চাষ করা ছেরে দিব। প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যা, ক্ষরা অতিবৃষ্টি সবই হাওর পাড়ের বোর ধান ও কৃষকের উপর প্রবাহিত হয়। বোর ধানের চারা রোপন থেকে শুরু করে প্রতি বিঘা বা কিয়ারে খরচ হয় ৪/৫ হাজার টাকা। কিন্তু ধান পাকার পর কাজের লোকের সংকট, প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যা, ক্ষরা ও অতিবৃষ্টির কারনে কৃষক পরিবারের স্বপ্নটা ভেঙে যায়। কিন্তু সব খরচ মিটানো হয় ঋনও সুধের টাকার বিনিময়ে। হয়তুবা কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক এর মাধ্যমে। একসময় টাকা আর ফেরত দেওয়ার সুযোগ থাকেনা কৃষকের। পরিবার পরিজন নিয়ে বাছার স্বপ্নটাও ভেঙে যায়। বছরের ছয় মাস হাওর পাড়ের মানুষের কাজকর্ম না থাকায় একমাত্র বোর ধানের উপর নির্ভর করতে হয় হাওর বাসীর। শুক্তবার দোয়ারাবাজার উপজেলার কনছ খাই হাওর পারের কয়েকটা গ্রামর চিত্র এভাবেই ফুটে উটে। কালিকা পুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, কনছ খাই হাওর পাড়ে আমার বাড়ি, দোয়ারাবাজার উপজেলার মধ্যে এক ফসলি বোর ধানের হাওর হল কনছ খাই, এই এলাকার মানুষ সুবিধা বঞ্চিত। বার বার প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতি গ্রস্ত হয় সুরমা ইউপির ১২৩ নং ওয়ার্ড। সরকারী সুযোগ সুবিধা ভূগ করে টান এলাকার মানুষ। এই বছর এই এলাকার কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপুরনীয়। আমি ওয়ার্ড বাসীর পক্ষথেকে সরকারের নিকট হাওর পাড়ের কৃষকদের কৃষি ঋন মউকুপের দাবি জানাচ্ছি।
খবর ৭১/ ই: