হাসান মাহমুদ ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সরকারি জসিমুদ্দিন কাজী আব্দুল গনি কলেজের শিক্ষক আব্দুল মোতালেব এরশাদকে ধর্ষন মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৪ সালে দায়ের করা একটি মামলার আসামি এরশাদকে (২০০০ সালের (সংশোধনী/৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আইনের ৯(১) ধারার বিধান মোতাবেক) যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত।
সোমবার লালমনিরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক রেজা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ রায় দেন।
এরশাদ জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার আব্দুল সাত্তারের ছেলে বলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, এরশাদ তার নিজ এলাকার কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। কিন্তু ওই ছাত্রী বিয়ে করার জন্য এরশাদকে চাপ দিলে সে টালবাহানা শুরু করে। পরে এই অবস্থায় ২০১৪ সালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা ( নং- ১৮৫/১৪) দায়ের করেন। ওই মামলায় এরাশদকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন কারা ভোগের পর জামিনে বেড়িয়ে আসেন ওই কলেজ শিক্ষক। সোমবার মামলার রায়ের পর যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি এরশাদকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আব্দুল মোতালেব এরশাদ ৩৩ তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৪ সালের পাটগ্রাম সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু তার যোগদানের দিনই তিনি ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার হলে তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হয়। এখন পর্যন্ত এরশাদ বহিস্কৃত অবস্থায় আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।”
এ ব্যাপারে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড, মশিউর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল মোতালেব ওরফে এরশাদকে বিজ্ঞ আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমনার রায় দিয়েছেন।”
খবর৭১/এস;