ধর্ষণের পর আলামত ধ্বংস করতেই তরুণীকে হত্যা!

0
256

খবর ৭১ঃকলকাতার গড়িয়া স্টেশনের কাছে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় এক তরুণীর লাশ। ওই তরুণীকে ধষর্ণ করা হয়। এর পর ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতেই তাকে হত্যা করা হয়।

ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে অবশেষে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে পুলিশ।

গত ১৭ এপ্রিল গড়িয়া স্টেশনের কাছে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল ওই তরুণীর দেহ।

বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, তদন্তে কোনো ফাঁক রাখতে চাই না। কিছু কিছু রহস্যের জট খুলতেই সিট গড়া হয়েছে।

বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (জোনাল) সৈকত ঘোষ সিট-এর কাজ তদারকি করছেন। জেলার ডিএসপি (ক্রাইম), ওসি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ), সোনারপুর থানার আইসি ও সাব-ইনস্পেক্টর পর্যায়ের একজন অফিসারকে দলে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ধর্ষণের পরে প্রমাণ নষ্ট করতে খুন, শুধু খুন, না কি দুর্ঘটনা তা নিয়ে নিশ্চিত হতে চায় পুলিশ।

সোনারপুর থানা গোড়ায় দুর্ঘটনার তত্ত্বেই জোর দিচ্ছিল। ওই নারী লরি জাতীয় কোনো গাড়ির নিচে পিষ্ট হয়েছিলেন। তার কোমরের আশপাশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সম্পূর্ণ পিষে গিয়েছিল। রাজাবাজারে কারখানায় কাজ সেরে, রাত ১২টার পরে শেষ ট্রেনে বাড়ি ফেরা ওই তরুণীকে শেষবারের মত দেখেছিল তার ছেলে। মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে মিষ্টির দোকানে বসিয়ে ঠাকুরমাকে ডাকতে গিয়েছিলেন। এর পরে কীভাবে, কখন উল্টো দিকের রাস্তায় গাড়ির নিচে চাপা পড়েন ওই তরুণী বিষয়টি নিয়ে রহস্য রয়েছে।

এক পুলিশ কর্তা জানান, অনেক সময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ডাক্তার লিখে দেন পারিপার্শ্বিক প্রমাণের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে ঘটনাটি খুন কিনা। এই জায়গাটি গড়িয়ার ঘটনার রিপোর্টে স্পষ্ট নয়।

ওই তরুণীর শাশুড়ির দাবি, তার বৌমাকে ধর্ষণই করা হয়েছিল। দেহটি কীভাবে পোশাকহীন হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনি। তবে দুর্ঘটনার সময়ে দেহটি কী অবস্থায় ছিল, তা নিয়ে পুলিশকর্তারা নিশ্চিত নন।

পুলিশের দাবি, তদন্তে ফাঁক রাখা হচ্ছে না। দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে ওই রাতে মোবাইলে কী কথা হয়েছিল, তা জানতে বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারের সাহায্য নেয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here