খবর৭১ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দ্বিতীয় দিনে ২৩৪ জন প্রার্থী আপিল করেছেন।
আপিলের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সংক্ষুব্ধ এইসব প্রার্থীদের আপিল গ্রহণ শুরু করে ইসি।
এর মধ্যে আজ বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের ১৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬ জন, রংপুর বিভাগের ২৭ জন, ঢাকা বিভাগের ৬৮ জন, রাজশাহী বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬ জন ও খুলনা বিভাগের ১৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল করেছেন।
দ্বিতীয় দিনে আপিলকারীদের মধ্যে অন্যতমের তালিকায় আছেন- জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক সোহেল রানা, ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।
প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মত ৮টি বুথ স্থাপন করে আপিল গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বুথ করা হয়েছে। প্রার্থী বা তার মনোনীত প্রতিনিধিরা কমিশন চত্বরের বুথে আপিল দায়ের করছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার আপিলের প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮৪ জন প্রার্থী আপিল করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩ থেকে), চাপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদাহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে মো. আখতারুজ্জামান, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদাহ-২ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আগামীকাল বুধবার আপিল কার্যক্রম শেষ করে বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন আপিলগুলোর শুনানি করবে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সারা দেশে ৩০০ আসনে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাচাইয়ে তাদের মধ্য থেকে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বিএনপির ১৪১ প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
তফিসল অনুযায়ী, একাদশ সংসদে ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
খবর৭১/এসঃ